চলমান অস্থির ও নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর উপদেষ্টা কমিটির পরামর্শে পাঁচসদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল রোববার মধ্যরাতে বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলামসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা মিলে এ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হেফাজতের সাবেক আমিরে খাদেম ইনামুল হক। এই কমিটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
বর্তমান কমিটি- প্রধান উপদেষ্টা আল্লামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে ঠিক রেখে আহ্বায়ক হয়েছেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, সদস্য সচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম, সদস্য মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী ও দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে হেফাজতের প্রাক্তন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন আল্লামা বাবুনগরী।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ পর্যন্ত হেফাজতের অন্তত কয়েক ডজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে নারীসহ জনতার হাতে ধরা পড়েন। এতে নতুন করে বিতর্কের মুখে পড়ে হেফাজত। সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে কোণঠাসা হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তারা গোয়েন্দা সংস্থা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
গত সপ্তাহে হেফাজত ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর বাসায় দেখা করে দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ভেঙে দিলেন হেফাজত নেতারা।
Leave a Reply