ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ শুরু করেছে পাকিস্তান। শনিবার জোহানেসবার্গে তুমুল উত্তেজনা ছড়ানো প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। চার ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাক শিবির।
আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। জবাবে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে এক বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে লক্ষ্য স্পর্শ করে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন পাক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান।
শেষ ওভার অবধি ম্যাচে ছিল উত্তেজনা। ৬ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। উইলিয়ামসের প্রথম বলে দুই রান করেন ফাহিম। দ্বিতীয় বলে আউট ফাহিম। ক্রিজে নামা হাসান আলী তৃতীয় বলে হাকায় চার। চতুর্থ বলে দুই রান। পঞ্চম বলে মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাদে আসে তিন রান। এক বল হাতে রেখে দারুণ জয় পায় পাকিস্তান।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ বলে ৭৪ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফকর জামান ২৭, ফাহিম আশরাফ ১৪ বলে ৩০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে হেনরিকস তিনটি, শামসি দুটি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিংয়ে মারক্রাম পান ফিফটির দেখা। অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেনও করেন ফিফটি। সব মিলিয়ে চার প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে স্বাগতিক শিবির।
৩২ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন এইডেন মারক্রাম। তার ইনিংসে ছিল আটটি চার ও একটি ছক্কার মার। বরাবর ৫০ রান করেন অধিনায়ক হেনরিক। ২৮ বলের ইনিংসে তিনি হাকান চারটি ছক্কা, দুটি চার।
মিডল অর্ডারে ভ্যান বিলজন ২৪ বলে করেন ৩৪ রান। ওপেনার জানেমান মালান ১৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন নওয়াজের বলে এলবি হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন তিন জনের অভিষেক হয়। ব্যাট হাতে ৩ বলে চার রান করেন ওয়ান ডাউনে নামা উইহান লুবে। সিসান্দা মাগালা ৫ বলে থাকেন ৯ রানে অপরাজিত। ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাননি লিজাড উইলয়ামস।
বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নওয়াজ ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট নেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফ নেন একটি করে উইকেট।
আগামী ১২ এপ্রিল জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে চার ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি। ১৪ ও ১৬ এপ্রিল পরের দুটি।
Leave a Reply