নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের দাড়ি ধরে টানার অভিযোগ এনে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের ওপর হামলা চালিয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের ভাটিরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই সাংবাদিককে গতকাল রাতেই উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০-৭০ জনকে আসামি করে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে এক নারীসহ স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবরুদ্ধ করে রাখেন। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। এ সময় চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানকে নানা প্রশ্ন করতে দেখা যায়। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই ঘটনার পরে গতকাল সোমবার রাতে উত্তেজিত হেফাজত কর্মী ও সমর্থকরা সনমান্দি ইউনিয়নের ভাটির চর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে সাংবাদিক হাবিবকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ফেইসবুকে লাইভে এসে ওই সাংবাদিককে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কাছ ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ক্ষমা না চাওয়ার কারণে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেন, আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে চলে যান।’
এ বিষয়ে আহত সাংবাদিক হাবিব বলেন, বাড়ি-ঘরে হামলা ও তাকে মারধরের ঘটনায় পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
সোনারগাঁও থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিকের ওপর হেফাজতের হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
Leave a Reply