এবার সড়ক বিভাগের অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ রোববার সন্ধ্যার পর বসুরহাট রূপালী চত্বরে দলীয় কার্যালয় থেকে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে ইস্কান্দার মির্জা শামীমসহ বেশ কয়েকজন সড়ক বিভাগে অনিয়ম করছে। আমি সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে বলেছি, ইস্কান্দার মির্জা শামীম আমাদের কেউ না। তার সাথে কোম্পানীগঞ্জের মিজানুর রহমান বাদল, ফখরুল ইসলাম রাহাত, চট্টগ্রামের বাবু, আজাদ ও আনাছ অনিয়মে জড়িত। তারা যেন মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সচিবকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে ইস্কান্দার মির্জা শামীম মন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সড়ক বিভাগের কাজ পাইয়ে দেবে বলে লক্ষীপুরের মো. কাওছার হামিদ মজুমদারের থেকে দুই কোটি টাকার চেক নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা তুলে নিয়ে যায়। তবে, সে অনিয়ম করে মাইন উদ্দিন বাসী নামের একজনের লাইসেন্স দিয়ে কাজটি ভাগিয়ে নিলেও কাওছার হামিদকে কাজটি দেয়নি। মো. কাওছার হামিদ মজুমদার প্রমাণসহ আমার কাছে অভিযোগ করার পর বিষয়টি আমি সড়ক বিভাগের সচিবকে জানিয়েছি।’
ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই আরও বলেন, ‘নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধ না হলে শেখ হাসিনার ব্যাপক উন্নয়ন করেও বৃহত্তর নোয়াখালীতে আমাদের দলের অনেক এমপি জামানত পাবে না। তার প্রমাণ শনিবার চৌমুহনী পৌরসভার নির্বাচনে জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে। ওই নির্বাচনের আগে নোয়াখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে বলেছিলেন, নোয়াখালীর রাজনীতি আমার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেটা চৌমুহনী নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। কোথায় গেল আপনার সেই দম্ভোক্তি?’ এসময় তিনি রসিকতা করে বলেন, ‘শরম যদি লাগে গো, ঘোমটা দিয়ে হাট গো।’
দৃঢ় কণ্ঠে বসুরহাটের মেয়র বলেন, “শেখ হাসিনা ইচ্ছা করলে আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে পারেন। যদি এখন থেকে জনপ্রিয় লোকদেরকে মনোনয়ন দেন, তাহলে আগামী নির্বাচনে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাঘরিষ্টতা পাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজিব ওয়াজেদ জয়ের বলেছেন, ‘সৎ থাকলে একটা সুবিধা আছে, কখনও ভয় পেতে হয় না। সৎ থেকে যেকোনো কথা বলা যায়, যেকোনো কিছু করা যায়।’ আমি তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলবো- সততার সহিত রাজনীতি করুন, ভয়কে জয় করুন।’
Leave a Reply