রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মারা গেছেন। তিনি হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীণ ছিলেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে হাসপাতাল বলছে অন্য কথা। কর্তৃপক্ষের ধারণা, বিষক্রিয়ায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ এসব তথ্য জানান।
গণমাধ্যমে ওসি বলেন, গত শুক্রবার ওই ছাত্রী তার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উত্তরার একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন। সেখানে অসুস্থবোধ করলে তাকে এক বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে তারা জানতে পেরেছেন। আবদুল লতিফ জানান, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় শনিবার ওই ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি বলেন, রোববার ওই ছাত্রী মারা গেছেন। তবে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে কী হয়েছিল। ছাত্রীর বাবা শনিবার ধর্ষণ মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার দুজন পুলিশের হেফাজতে আছে।
এদিকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের পরিচালক এনায়েত হোসেন শেখ জানান, শনিবার সকাল সাতটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন অন্য দুই ছাত্রী। তার রক্তচাপ ছিল খুবই কম, পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। দ্রুততার সঙ্গে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো যায়নি। ছাত্রীর মৃত্যুর পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে ধানমন্ডি থানা ও পরে মোহাম্মদপুর থানায় যোগাযোগ করে। পুলিশ এসে পরে মৃতদেহ নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের ধারণা, বিষাক্ত মদপানে ছাত্রীটির মৃত্যু হতে পারে।
Leave a Reply