নিজেকে ক্ষমা করার সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ধরনের ক্ষমা হবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অস্বাভাবিক ব্যবহার।
নিজের রাজনৈতিক মিত্র এবং বন্ধুদের ধারাবাহিকভাবে ক্ষমা করার পর ২০১৮ সালে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘নিজেকে ক্ষমা করার চূড়ান্ত ক্ষমতা আমার রয়েছে।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে মামলা রয়েছে। সেগুলো কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার আওতায় পড়ে না। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সাইরাস ভেন্সের ক্রিমিনাল তদন্ত এবং নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের নাগরিক তদন্ত।
সাংবিধানিক আইনজীবীরা বলছেন, একজন প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন কিনা এর সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই। কোনো প্রেসিডেন্টই আগে এ চেষ্টা করেননি। সে কারণে আদালত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবিধানিক আইনের প্রফেসর ব্রায়ান কাল্ট বলেন, ‘মানুষ যখন আমার কাছে জানতে চায় একজন প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারে কিনা, আমার উত্তর হয় সব সময়ই পারে।’ তিনি বলেন, সংবিধান এ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে কিছু বলেনি।
তবে কোনো কোনো আইন বিশেষজ্ঞ মনে করেন নিজেকে ক্ষমা করা অসাংবিধানিক হবে। কেননা তা নিজের মামলায় কেউ বিচার করতে না পারার মূল নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।
Leave a Reply