কানাডায় ১ লাখ ৪৮ হাজার নাগরিককে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশটিতে ফাইজার এবং মডার্নার মোট ৪ লাখ ২৪ হাজার হাজার ৫০ ডোজ ভ্যাকসিন গিয়েছে। নাগরিকদের দেওয়ার পর বাকি ভ্যাকসিনগুলো পড়ে রয়েছে ফ্রিজারে!
গতকাল মঙ্গলবার কানাডার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া খবরে নাগরিকদের দেওয়া ভ্যাকসিনের পরিমানের তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশটিতে কত পরিমান করোনা ভ্যাকসিন যাচ্ছে, তা জানা যায়। সে হিসেবে কানাডার একটি বিশেষজ্ঞদল এ হিসাব মিলিয়েছে। তবে তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে।
মূলত প্রভিন্সগুলোর ধীর গতির কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লাখ লাখ ভ্যাকসিন ফ্রিজারে পড়ে আছে। এতে চটেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ফ্রিজারে ভ্যাকসিন পড়ে আছে, কিন্তু নাগরিকদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছায়নি; আমি হতাশ।
ট্রুডো জানান, জানুয়ারির মধ্যে কানাডায় এক মিলিয়ন ডোজ টিকা আসবে। প্রতিজনকে দুটি করে ৫০০ হাজার নাগরিককে জানুয়ারির মধ্যেই দেওয়া যাবে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের জন্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হবে।
কানাডার প্রভিন্সগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অন্টারিও। কিন্তু প্রতিটি প্রভিন্সেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অন্টারিওতে মাত্র ৫০ হাজার নাগরিককে টিকা দেওয়া হয়েছে।
কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৬ জন, মারা গেছেন ১৬ হাজার ২৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৪ জন। দেশটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ১৪ ডিসেম্বর। তবে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা এবং কুইবেকে হু হু করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ দেওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
Leave a Reply