যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে দুই সিনেট আসনের রানঅফ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনের ওপর সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেনের চূড়ান্ত ভাগ্য পরীক্ষাও নির্ভর করছে। জর্জিয়ার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে রানঅফ নির্বাচনে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
রিপাবলিকান প্রার্থী কেলি লফলার ও ডেভিড পের্ডু এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রাফায়েল ওয়ার্নক ও জোন অসফের মধ্যে এ লড়াই চলছে। কিন্তু মূল লড়াই ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়বেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। এর মধ্যে জর্জিয়ার প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাকে ভোটের ফল পাল্টাতে নির্দেশনা দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও সুবিধা হয়নি, যে ফোনালাপের মাধ্যমে এ নির্দেশনা ট্রাম্প দেন, তা ফাস হয়ে গেছে।
জর্জিয়ার নির্বাচনের ওপর সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে যাবে, তা নির্ভর করছে। কারণ, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নিতে ডেমোক্রেটিক পার্টিকে জিততে হবে দুটি আসনে। অন্যদিকে বিদায়ি দল রিপাবলিকান একটি আসন পেলেই জয় পাবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, উভয় আসনে প্রার্থীদের প্রতি জনসমর্থনের হারের ব্যবধান কম, তাই যে কেউ জয় পেতে পারেন। যদিও চার প্রার্থীই কেউই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এখন পর্যন্ত ৫৯ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জর্জিয়ার নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী পুনরায় ভোটের বুথফেরত জরিপে ৪০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়। বুথফেরত জরিপে রিপাবলিকানদের পক্ষে ৪৯ শতাংশ ও ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ৪৮ শতাংশ সমর্থন দিয়েছে।
জর্জিয়ার যে দুটি আসনে ভোট চলছে, তাতে রিপাবলিকানরাই শক্তিশালী। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়েছিলেন। আবার রানঅফ নির্বাচনে জয় পাওয়ার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে রিপাবলিকানদের। ফলে পারডু ও লোফলারের এ খানে সহজ জয়ই পাওয়ার কথা।
তবে জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেটের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফোনালাপ ফাঁস ডেমোক্র্যাটদের জয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ট্রাম্পের কার্যক্রমের কারণে শেষ এই ধাক্কা রিপাবলিকান দুই সিনেটর শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেন কিনা, তা-ই এখন দেখার বিষয়।
Leave a Reply