1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশে করোনা কমার নেপথ্যে কী?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২১

করোনায় কাঁপছে পৃথিবী। ইউরোপ-আমেরিকায় সংক্রণের মাত্রা বাড়ছে দ্রুত। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। কিন্তু বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভিন্ন। সংক্রমণের মাত্রা কমছে। গতকালই যেমন আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

ঠিক কী কারণে বাংলাদেশে সংক্রমণ কমছে? শীতকালে সক্রিয় চারটি ভাইরাস এবং করোনার অ্যান্টিবডি গ্রোর কারণে সংক্রমণ কমছে বলে মনে করেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য, খ্যাতিমান ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমাদের এখানে অনেক আগ থেকে ৪টি শীতকালের ভাইরাস রয়েছে।  যেমন-ইনফ্লুয়েঞ্জা(এ), প্যারো ইনফ্লুয়েঞ্জা (৩), রাইনোভাইরাস  এবং নিউমোনিয়ার কারণে সর্দি, কাশি।  নিয়ম হচ্ছে একটি ভাইরাস থাকলে অন্য ভাইরাস ফুসফুসে ঢুকতে পারে না।

এছাড়া করোনার কারণে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে তার ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গরমে বাংলাদেশে যেভাবে করোনা বেড়েছিল। শনাক্তের হার ২০ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করেছিল। সেখানে এখন ৭-এর ঘরে শনাক্তের হার।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশে যেহেতু হার্ড ইমিউনিটি বেড়ে গেছে, করোনা গ্রো করার জায়গা পাচ্ছে না। তাই আগামী দিনগুলোতে সংক্রমণ কমবে, যদি না যুক্তরাজ্যের ভাইরাস আমাদের দেশে ঢুকে। তবে নতুন করোনাভারাইসটি প্রবেশ করলেও বর্তমান হার্ড ইমিউনিটি কাজ করবে। ১০০ ভাগ না হলেও ৯০ ভাগ তো কাজ করবে। ড. বিজন বলেন, করোনা সংক্রমণ পশ্চিমে বেড়েছে। তবে আমাদের কমে গেছে। এর মূল কারণ, আমাদের হার্ড ইমিউনিটি বেড়েছে। আরেকটা কারণ হতে পারে, শীতকালে মানুষ ঘর থেকে কম বের হয়। এ ছাড়া শীতে মানুষ নাক ঢেকে রাখে, সেটা মাস্ক হোক কিংবা মাফলার হোক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com