1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

নতুন কর্মসংস্থান হবে ১ কোটি ১৭ লাখ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০

১ কোটি ১৭ লাখ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রেখে অষ্টম (২০২১-২৫) পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল শেরে বাংলানগরের এনইসি সভায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম ও পরিকল্পনা কশিমনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তারা জানান, অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার। এ পরিকল্পনায় ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রবাসে। ৮১ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে দেশে। কোন সালে কত কর্মসংস্থান হবে তার একটা ধারণাও দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে ২১ লাখ ৬০ হাজার, ২০২২ সালে ২২ লাখ ৩০ হাজার, ২০২৩ সালে ২৩ লাখ ৩০ হাজার, ২০২৪ সালে ২৪ লাখ ২০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২৫ লাখ ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সভায় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সঠিক তথ্য, প্রশিক্ষণ, অভিবাসন ব্যয় মেটাতে ঋণ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার ধাক্কায় সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ওই অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। কোভিড ১৯-এর কারণে সৃষ্ট মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারে স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস, কর্মসংস্থান, আয় এবং অর্থনীতি কার্যক্রম আগের ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাসকরণে জোর দেওয়া হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রত্যেক নাগরিকের অংশগ্রহণ এবং তা থেকে উপকৃত হওয়া এবং দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল নেওয়া হয়েছে। ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া হবে নতুন পরিকল্পনায়।

চলতি অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ৫ দশমিক ৪, ৫ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ২, ৪ দশমিক ৯ এবং সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নেমে আসবে ৪ দশমিক ৮ শতাংশে।

এ ছাড়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২৫ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিয়ে আসা হবে। ২৫ অর্থবছরে চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com