বড়দিনের ছুটির আগেই করোনায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ। আক্রান্ত হচ্ছেন অনেক মানুষ। ফলে হাসপাতালে বেড পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ কারণে ক্রিসমাস তথা বড়দিনের ছুটিতে নাগরিকদের ভ্রমণে না যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে আনতে রাজনৈতিক নেতারাও মানুষকে সতর্ক করছেন। বিভিন্ন অঞ্চল লকডাউন করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। রয়টার্স।
নতুন প্রজাতির বেশি সংক্রামক করোনা ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়ায় আমেরিকায় সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। এমনিতেই ৯ মাসের করোনার আঘাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র।
ফলে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ব্রিটেনে অবস্থানরত মার্কিন কর্মকর্তা ও নাগরিকদের দেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয় ভাবা হচ্ছে। সর্বশেষ ৬ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনার শুরু থেকে এই সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ৩ লাখের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের সর্বশেষ প্রকোপের এপিসেন্টার ক্যালিফোর্নিয়া।
সেখানে আইসিইউ বেড সংকটের পাশাপাশি রোগীদের সেবার জন্য প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও নার্সের সংকট রয়েছে। সাটার রোজভিল মেডিকেল সেন্টারের ডা. ইমরান মোহাম্মেদ বলেন, ‘পুরো ক্যালিফোর্নিয়ার আইসিইউ সক্ষমতা ভেঙে পড়েছে। আমরা লড়াই করে যাচ্ছি। এর চেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য আমরা প্রস্তুত নই। আরও বেশি আইসিইউ রোগী আসবে এবং দুর্ভাগ্যবশত আমরা তাদের স্থান দিতে পারব না।’
এরই মধ্যে ক্রিসমাস সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য ও শহর লকডাউন দিয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসে থ্যাঙ্কসভিগিং উৎসবে মানুষ জড়ো হওয়ার পর করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়েছে।
রাজনীতিবিদরা মানুষকে ক্রিসমাসে বাসায় অবস্থান করার পরামর্শ দিচ্ছেন। অবশ্য মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি মঙ্গলবার জানিয়েছে- নতুন প্রজাতির করোনার উপস্থিতি এখনও যুক্তরাষ্ট্রে পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির করোনার বিরুদ্ধে ফাইজার বা বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিন কাজ করবে। এরই মধ্যে টিকা দুটির জরুরি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর সাহিন বলেছেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে টিকাটি খুবই উঁচু পর্যায়ের। এটি নতুন প্রজাতির করোনার ক্ষেত্রেও কাজ করবে।’
Leave a Reply