করোনা মহামারীর কারণে জরুরি ব্যয় সহায়তাসংক্রান্ত একটি বিলের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস। গত সোমবার ৮৯২ বিলিয়ন ডলারের এ বিলটির অনুমোদন দিয়েছে কংগ্রেসের উভয় কক্ষ। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ৩৫৯-৫৩ এবং উচ্চকক্ষ সিনেটে ৯১-৭ ভোটে বিলটি পাস হয়েছে। দেশের করোনাবিধ্বস্ত অর্থনীতিতে সহায়তার লক্ষ্যে এ বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এটি আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিবিসি।
প্যাকেজটির আওতায় কর্মীদের চাকরিচ্যুত হওয়া ঠেকাতে ছোট আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৮৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হবে। নাগরিকদের এককালীন ৬শ ডলার করে অনুদান দেওয়া হবে। এ খাতে ১৬৬ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ দিয়েছে কংগ্রেস।
অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহ থেকেই নাগরিকদের ৬শ ডলার করে দেওয়ার কাজ শুরু করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। লোকজনকে কাজে ফেরাতে এবং ছোট আকারের ব্যবসাগুলোকে সাহায্য করতে এ তহবিল দেওয়া হচ্ছে।
বিলে ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের জন্য ৩ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ তহবিল পাবে গাভি, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মতো সংস্থাগুলো। নিম্নআয়ের দেশগুলোয় ভ্যাকসিন পৌঁছাতে কাজ করছে এ সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত অ্যালায়েন্স।
সোমবার পাস হওয়া বিলটিকে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সহায়তার জন্য একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, ‘কেউই আমরা এ আইনকে নিখুঁত মনে করছি না; কিন্তু দুই দলের একটি বড় অংশই মনে করছে এ বিপুল পরিমাণ অর্থের প্যাকেজটি যদি আমরা প্রেসিডেন্টের ডেস্কে পাঠাই তা হলে ভালো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ দীর্ঘসময় ধরে অপেক্ষা করছে।’
প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের সংখ্যালঘু অংশের নেতা চাক শুমার বলেছেন, নতুন এ প্রণোদনা প্যাকেজ মার্কিনিদের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষায় জরুরি অর্থ সহায়তায় ভূমিকা রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রে এতদিন যেসব কোভিড-১৯ সহায়তা প্রকল্প ছিল, তার অনেকগুলোই এ মাসে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পগুলো শেষ হলে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বেকার ভাতা ও অন্য সুযোগসুবিধা বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তেন।
Leave a Reply