অবশেষে পুলিশ সদস্যদের কাঁধে বা হাতে ভারী বন্দুক বহন করে দায়িত্ব পালনের দিন ফুরাল। ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরেই দায়িত্ব পালনে মাঠে নামেন তারা। মাঠপর্যায়ে কাজ করার সময় পুলিশ সদস্যদের হাত খালি রাখতে উন্নত বিশ্বের আদলে এ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে গত মঙ্গলবার জানানো হয়।
গতকাল শাহবাগ ও রমনা এলাকায় ঘুরে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরা অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের কর্তব্য পালন করতে দেখা যায়। দুপুরে গুলশান থানাসংলগ্ন চেকপোস্টের সামনে ওই জোনের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রাথমিক পর্যায়ে ৬৮ জন পুলিশ সদস্যকে টেকটিক্যাল বেল্ট অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ সরবরাহ করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। গুলশান বিভাগের ১৪৬ জন পুলিশ সদস্য এই বেল্ট পরে দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
এ আগে গত মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি বেনজীর আহমেদ জানান, প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাত হাজার ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তিন হাজার পুলিশ সদস্যকে এই বেল্ট দেওয়া হবে।
গতকাল মৎস্য ভবনের সামনে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে কাজে নিয়োজিত ছিলেন এএসআই নাজমুল। রমনা বিভাগের পুলিশের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, তার বিভাগের কনস্টেবলসহ ১২২ জন পুলিশ সদস্য ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্যাকটিক্যাল বেল্ট অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজের মধ্যে রয়েছে- থাই হোলেস্টার উইথ আর্মস, এক্সপান্ডেবল ব্যাটন, হ্যান্ডকাফ, ওয়ারলেস, টর্চলাইট, ওয়াটার বটল ও মাইক্রোফোন। এখনো সেটের সঙ্গে মাইক্রোফোন সেট করা হয়নি। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার স্থান রয়েছে। একটিতে পিস্তল রাখা হবে এবং অন্যটিতে এসএমজি রাখা হবে। বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা একটি আগ্নেয়াস্ত্র বহন করছেন।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক তদন্ত আরিফুর রহমান সরদার বলেন, শাহবাগ মোড়, মৎস্য ভবনের সামনে, প্রেসক্লাব, মেডিক্যাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা কাজ করছেন বেল্ট পরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে সার্জেন্টরাও ডিউটি করছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের ১৩৫ জন এসআই, ১৭১ জন এএসআই এবং ৬৭ জন পুলিশ সদস্য বর্তমানে এই বেল্ট পরে দায়িত্ব পালন করছেন। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম চলবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
Leave a Reply