সারাদেশে বিরাজমান ঘন কুয়াশা আরও দু-একদিন থাকতে পারে। আরব সাগর থেকে বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা জলীয় বাষ্পে কয়েক দিন ধরে জমে থাকা কুয়াশা আরও ঘন হয়ে উঠেছে। এটি আরও ঘন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে পারে। এদিকে সকাল থেকেই দিনের আলো যেন সন্ধ্যার আঁধারে পরিণত হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি কিন্তু বেড়ে চলেছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানান, ভূমধ্যসাগর থেকে আসা কুয়াশা সরে গিয়ে হিমালয়ের পাদদেশে বৃষ্টি হয়ে ঝরে বিদায় নেবে। আজ সকাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল ও ময়মনসিংহ হয়ে রাজধানী পর্যন্ত অনেক এলাকায় ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার সকালেও ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সোমবার সূর্যের দেখা পাওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আবারও কমতে থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমা লঘুচাপ ছড়িয়ে পড়ায় সারাদেশেই শীতের অনুভূতি বেড়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা দ্রুত কমে উত্তরাঞ্চলে শুরু হতে পারে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ শনিবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে নদীতীরবর্তী এলাকায় বাড়তে পারে কুয়াশা।
Leave a Reply