মেয়াদ বাড়িয়েও কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে প্রণোদনা বিতরণ পুরোপুরি হয়নি। কৃষি খাতে বিতরণের মেয়াদ চলতি মাসে শেষ হলেও বিতরণ হয়েছে মাত্র অর্ধেক। এক মাসের মধ্যে বাকি অর্ধেক বিতরণ করতে হবে। একই পরিস্থিতি হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের প্রণোদনা বিতরণের অবস্থাও।
কৃষি খাতের জন্য সরকার ঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণের সময়সীমা সেপ্টেম্বর থেকে তিন মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু নভেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন করা হয়েছে ২ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। ১ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ জন কৃষক ও কৃষি ফার্ম ঋণ পেয়েছে। বাকি এক মাসের মধ্যে প্রণোদনার ২ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা বিতরণ করা লাগবে। বাস্তবিকভাবে দুষ্কর বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
এদিকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রণোদনা বিতরণের শেষ সময় ছিল ১ নভেম্বর। মেয়াদ বৃদ্ধি করে তা ৩০ নভেম্বর করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ৩০ অক্টোবরের হিসাব অনুসারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার মধ্যে ৯ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এটি মূল প্রণোদনার ৪৭.৬৩ শতাংশ। এ খাতে ৫ হাজার ৫৪১ জন ঋণ পেয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, পোশাক খাতে যেসব সুবিধা দেওয়া হয় অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোয়ও সে রকম সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। রপ্তানি বহুমুখীকরণ করতে হলে এটি করতে হবে। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) প্রয়োজন। কিন্তু এফডিআইর সঙ্গে এসএমইর সমন্বয় ঘটানো হয়নি। এ জন্য এফডিআই লিংকেজ পলিসি করতে হবে।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকার বিপরীতে নভেম্বর পর্যন্ত ৫৯ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৬৫টি আবেদনের মাঝে ২৪টি আবেদন সমাধান করা হয়েছে।
তবে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনার মধ্যে ২৯ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ফলে এ খাতে প্রণোদনা বিতরণ ৮৮.১৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
Leave a Reply