পুলিশের সব সদস্যের জন্য বিশেষ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি পূরণে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বিশেষ ভাতাসহ ১৫ দিনের ‘শ্রান্তি বিনোদন ছুটি’ পাচ্ছেন তারা। পুলিশের কর্মোদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য প্রতিবছর এ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পুলিশের সাবেক মহাপরির্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ এমপি আমাদের সময়কে বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এতে পুলিশের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। তবে তাদেরও মনে রাখতে হবে, সরকার তাদের জন্য অনেক কিছুই করেছে। এতে তাদের দায়িত্ব আরও বাড়বে। এ জন্য সরকারের ভাবমূর্তি যেন রক্ষা পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সব সদস্যকে বিশেষ ভাতা দিতে বছরে সরকারের ব্যয় বাড়বে প্রায় ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ থেকে একটি চিঠি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের কর্মোদ্দীপনা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব পুলিশ সদস্যকে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ অধিদপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অধিদপ্তর বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সব সদস্যকে প্রতিবছর এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ‘বাার্ষক বিশেষ ভাতাসহ শ্রান্তি বিনোদন ছুটি’ দেওয়ার প্রস্তাব পাঠায়।
চিঠিতে বলা হয়, যার চাকরির বয়স এক বছর ও দুই বছর হবে। তিনি এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন। আর যার চাকরির বয়স ৩ বছর হবে, তিনি এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থসহ ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি পাবেন। চাকরির সময়ে ধারাবাহিকভাবে ভাতা ও ছুটি প্রাপ্য হবেন। এ বিষয়ে পুলিশের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, অন্য বাহিনীর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কোনো ক্ষেত্রে এক মাস, আবার কোনো ক্ষেত্র দুই মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু পুলিশের ক্ষেত্রে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা খুবই কম। অধিক ডিউটি থাকার কারণে তারা অনেক সময় ছুটিও পান না। এই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুলিশ বাহিনীর প্রতি এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আমাদের মনে হয়েছে।
Leave a Reply