ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে সামনে পেলে তিনি হত্যা করতেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। গতকাল সোমবার রাতে এক সমাবেশে নিজের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তার এই বক্তব্যের ১৩ মিনিটের একটি ভিডিও সংসদ সদস্য তার ফেসবুক পেইজে আপলোড করেছেন।
হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমীর শাহ আহমদ শফীর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিলের জন্য নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার আমিনপুর মাঠে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, আজকে আমার প্রিয় নবী সম্বন্ধে যারা কটূক্তি করবে, ব্যঙ্গ করবে, আমি মুসলমান হিসেবে বলতে চাই, আমি কোনো সংসদ সদস্য না এখন, …. ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীকে (প্রেসিডেন্ট) বলতে চাই, আজকে তুই যদি আমার সামনে থাকতি, আমি তোকে হত্যা করতাম। হত্যা করে আমি ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে যেতাম।’
এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে লিয়াকত হোসেন খোকা বিবিসি বাংলাকে বলেন, তিনি তার বক্তব্য সম্পর্কে এখনো অনড় আছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার বক্তব্যে অনড় থাকবেন।
সংসদ সদস্যের কাজ আইন প্রণয়ন করা। প্রকাশ্য জনসভায় কাউকে হত্যার করার ইচ্ছে প্রকাশ করে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান এবং আল্লাহর বান্দা এবং নবীর উম্মত হিসেবে এটা বলেছি। নবীর ব্যাপারে কোনো আপোষ নাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি বক্তব্যের সময় বলেছি, আমি সংসদ সদস্য হিসেবে না, আমি একজন মুসলমান হিসেবে বলছি, নবীর উম্মত হিসেবে বলছি।’
ওই সমাবেশে উপস্থিত স্থানীয় এক সাংবাদিক বিবিসি বাংলাকে বলেন, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নারায়াণগঞ্জের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে বহু শিক্ষার্থী এই সমাবেশে যোগ দেয়। সেখানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং হেফাজতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা মঞ্চে ছিলেন।
এ সময় তারা ফ্রান্স এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্র বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। এর পাশাপাশি ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ প্রতি আহবান জানান লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার নবীর বিরুদ্ধে যে বলবে তার সাথে কিসের সম্পর্ক?’
লিয়াকত হোসেন খোকা জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য। এ নিয়ে তিনি দুইবার সংসদ সদস্য হয়েছেন এবং তার পেশা ব্যবসা।
Leave a Reply