মিসরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের শনিবার প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে গতকাল রোববারও ভোট দেন ভোটাররা। এবারের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসির সমর্থকরা প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার থেকে দেশটির সংসদীয় নিম্ন সভায় ৫৯৬ টির মধ্যে ৫৬৮ টি আসন নির্বাচন করবে। সাড়ে চার হাজারেরও বেশি স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থী হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সিসির সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
কয়েকটি ধাপে হবে পার্লামেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর। অপর দিকে নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে শেষ ধাপের ভোট হবে।
মিসরের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ রয়েছে। কারণ দেশটিতে টাকা দিয়ে ভোট কেনা, বিরোধী প্রার্থীদের বন্দী করার মতো ঘটনা খুবই সাধারণ। কিন্তু এভাবে নির্বাচন হওয়াটা মোটেও গণতান্ত্রিক নয়।
গ্রেফতার, ভয় দেখানো এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে সরকার তার বেশির ভাগ সমালোচককে সরিয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়াদের বেশির ভাগই সিসির সমর্থক। ধনী ব্যবসায়ীরা সরকার সমর্থিত দলগুলোর পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ খরচ করেন।
চলতি বছরের নির্বাচনের ফলাফল কি হবে তা জানতে আপাতত ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনেও আগের প্রতিফলন থাকবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এবার নতুন ইলেকটোরাল আইনের অধীনে পার্লামেন্ট নির্বাচন হচ্ছে মিসরে।
২০১৩ সালের অভ্যুত্থানে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের মুহাম্মদ মুরসিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
এরপর ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। নির্বাচিত হওয়ার পর দেশজুড়ে সব ধরনের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিসি।
সূত্র : আলজাজিরা
Leave a Reply