ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই আসামি নাজমুল হুদা ও সাইফুল ইসলামসহ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চার নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরের দিকে পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদাকে মগবাজার এলাকা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন তার মা মাসুমা বেগম। এরপর একে একে আরও তিন নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পরিষদের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলা আছে। এর মধ্যে নাজমুলকে দুপুরে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতা সোহরাব হোসেন ও আসিফ মাহমুদকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ও ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশ ও ডিবিতে খোঁজ করে পাচ্ছি না। পুলিশ যেহেতু তাদেরকে গ্রেপ্তারের কথা বলছে না, তাই আমরা ধরে নিয়েছি রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা গুম হয়েছেন তারা। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
সারা দেশে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সরকার এ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন রাশেদ খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, ধর্ষণ মামলায় তার টিম কাউকে আটক করেনি।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ওয়ালিদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। নাজমুল হুদা এই মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি ওই সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি। পরে ওই ঘটনায় কোতায়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।
Leave a Reply