কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে শনিবার বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে তিনি সকল দেশ যাতে এ ভ্যাকসিন সময় মতো এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে জাতিসঙ্ঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে ভার্চ্যুয়ালি দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ব প্রদান করা হলে, এ ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহামারি নিরসনে আমাদের উদ্যোগ এবং এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ (ভিএনআর) রিপোর্ট উপস্থাপন প্রমাণ করে যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে চলেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, করোনাভাইরাস মানুষজনকে অনেকটাই ঘরবন্দী করে ফেলেছিল। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থনীতিক কর্মকাণ্ডও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এ অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা প্রথম থেকেই জীবন ও জীবিকা দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য সরকার তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছে। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের সাথে সাথে সরকার ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেছিল। করোনাভাইরাস যাতে ব্যাপকহারে সংক্রামিত হতে না পারে, তার জন্য তারা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ‘যার সুফল হিসেবে আমরা লক্ষ্য করছি, ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে যেসব রোগের প্রাদুর্ভাব হয়, এবার সেসব রোগ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।’
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply