পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ভারতের পেঁয়াজবাহী ট্রাক। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজবাহী প্রথম ট্রাক প্রবেশ করে। আরও অনেক ট্রাক প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, টেন্ডারকৃত আটকে পড়া সব পেঁয়াজ আজ-কালকের মধ্যে প্রবেশ করবে। একটি ট্রাকে ২৫ মেট্রিক টন করে ৭ ট্রাকে ১৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আর রপ্তানিকৃত পেঁয়াজ বন্দরে দ্রুত ছাড়করণ করে দেশের অভ্যন্তরীণ পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আব্দুল আওয়াল জানান, পূর্বের এলসির টেন্ডারকৃত পেঁয়াজ বাংলাদেশে দেওয়ার জন্য আজ শনিবার মহদিপুর বন্দরে আটকে পড়া ভারতীয় পেঁয়াজের অনেক ট্রাক সিরিয়াল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহদিপুর রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা।
আব্দুল আওয়াল আরও জানান, বন্দরে পেঁয়াজের গাড়ি প্রবেশের খবরে স্থানীয় বাজারে কেজি প্রতি দর ১০ টাকা কমে এসেছে। বাজারে এখন ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভারতের মহদিপুর বন্দরে এলসি করা ৭০-৮০ ট্রাক পেঁয়াজ আটকা পড়েছে।
এদিকে, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে আটকে থাকা ২৫৫ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে ঢুকতে থাকে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম জানান, আগের এলসি করা ২৫৫ ট্রাক পেঁয়াজ ভারতীয় বন্দরে আটকে ছিল।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। জোরালো বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডায়রেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড ভারত থেকে সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার আদেশ সম্বলিত সার্কুলার জারি করেছিল। এতে করে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ সরকারকে আগেভাগে না জানিয়ে হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ করায় ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাই কমিশনে চিঠি দেয়।
Leave a Reply