মাটির তলায় গুপ্তধন পাওয়ার খবর এখনো নানা জায়গায় ঘটে থাকে। এবার পুকুরে মিলছে ২০০০, ৫০০ টাকার নোট, কয়েন, এমনকী গয়নার সন্ধান। এমন গুজবে শুক্রবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ভারতের পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের কুচুট পঞ্চায়েতে বড়মশাগোড়িয়া গ্রামে।
শয়ে শয়ে কৌতুহলী মানুষ সেখানে হাজির হয়ে যায়। টাকা-গয়নার নেশায় সকাল থেকেই মানুষজন ওই পুকুরে নেমে পড়ে। এই খবর পেয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে হাজির হয় মেমারি থানার পুলিশ। সেখানে পৌঁছে সব লোকজনকে হটিয়ে দেয়। এরপর পুলিশের তত্ত্বাবধানে চলতে থাকে পুকুরে খানাতল্লাশি। তখনও বেশ কিছু টাকা উদ্ধার হয়। তবে গয়না উদ্ধারের খবর মেলেনি।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই পুকুরে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। ওই পুকুরে কোথা থেকে টাকা এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
মেমারির কুচুট পঞ্চায়েতের বড়মশাগড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনেই রয়েছে পুকুরটি। সকাল থেকে রটতে শুরু করে পুকুরে ডুব দিয়ে হাতরালেই মিলছে টাকা-গয়না। মানুষজন কাজ ফেলে দিয়ে পুকুরে নামতে শুরু করে। পুকুর পাড়ে যথেষ্ট ভিড় জমে যায়।
এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানান, গত দুদিন ধরেই রটেছে পুকুরে ডুব দিয়ে হাতরালেই মিলছে টাকা। শুক্রবার সকাল থেকে ওই পুকুরে প্রচুর লোক নেমে পড়ে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। জাল ফেলা হলে পুকুর থেকে কিছু টাকা পাওয়া যায়। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুকুরে কিভাবে টাকা এল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বড়মশাগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন আগে ওই পুকুরে টাকা ভাসতে দেখা যায়। তারপর থেকেই সেই খবর লোকমুখে রটতে শুরু করে। রটনা এমন পর্যায়ে যায় যে টাকার সঙ্গে যোগ হয় সোনা-রুপোর গয়নাও! এই রটনা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। পুকুরে নামতেই ফকেটে মিলবে টাকা-গয়না, সেই সুযোগ ছাড়ে কে?
শুক্রবার সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ওই পুকুরে নেমে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বহু মানুষ পকুরে ডুব দিয়ে কাটিয়ে দেন। এই খবর পেয়ে বিকালে মেমারি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। পুকুর থেকে মানুষজনকে তুলে দেয়। এরপর পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে পুকুরে জাল ফেলে। তাতে কিছু টাকা উদ্ধর হলে হতবাক হয়ে যায় পুলিশও। পুকুরে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে কোথা থেকে ওই পুকুরে টাকা এল, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ ও স্থানীয়রা।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Leave a Reply