করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ভুটানে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশটিতে এ সংক্রান্ত সরকারি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার দেশটির রাজধানী থিম্পুতে কুয়েতফেরত এক নারীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। সম্প্রতি ওই নারী ভুটানে ফিরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তার দেহে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয়। গত কয়েকদিনে ওই নারী রাজধানী থিম্পুতে অনেক মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।
এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সংক্রমণের চেন ভেঙে দিতে, রোগী শনাক্ত ও তাদের আইসোলেশন নিশ্চিত করতেই এ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। একইসাথে উপসর্গবিহীন রোগী, সংক্রমণের বিস্তৃতি ও রোগটি থেকে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
প্রায় সাড়ে সাত লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে। সবাইকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সকল স্কুল, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অফিস ও বাণিজ্যিক স্থাপনা বন্ধ থাকছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, করোনা বিস্তারের গতি শ্লথ করতে দেশটিতে ঢোকার সব প্রবেশপথে যাচাই-বাছাই, পর্যবেক্ষণ ও শনাক্তকরণ পরীক্ষার উপর জোর দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশটির একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাণিজ্যিক যাতায়াত বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভুটানিদের ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
হিমালয়ের পাদদেশে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
Leave a Reply