বাংলাদেশে কমলা চাষের ঐতিহ্য আছে সিলেট জেলায়। স্বাধীনতার পর সেখানে কমলা চাষে বাধা সৃষ্টি হয়। থমকে থাকে দীর্ঘ দিন। সম্প্রতি আবারো বাজারে আসতে শুরু করেছে সিলেটের কমলা। এ জননন্দিত ফলটি চাষের ব্যাপ্তিও বাড়ছে দিনে দিনে।
ঠাকুরগাঁওয়ে আগে কমলা চাষ না হলেও সম্প্রতি এক কৃষকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে কমলা বাগান। গাছে গাছে ধরেছে কমলা। ফলের ভারে নুয়ে পড়া কমলা গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের অসংখ্য গুণগ্রাহী।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বীরহলি গ্রামের আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল, ২ নম্বর কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামে ৩ বিঘা জমিতে করেছেন ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান।
বাগানে রয়েছে আড়াই শ’ গাছ। গাছগুলোর বয়স ১০ বছর হলেও সপ্তমবারের মতো এবার গাছ থেকে কমলা সংগ্রহ চলছে। ১০ বছর আগে জেলা হর্টিকালচার থেকে প্রতি চারা ৫ টাকা করে কিনেছেন বাগানের মালিক জুয়েল। যদিও প্রথমে এই বাগান করার ইচ্ছা ছিল না।
শুধু হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাদের কথায় তিনি এই চারাগুলো কিনেছিলেন।
এখন সেই আড়াই শ’ গাছ থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করার আশা করছেন উদ্যোক্তা জুয়েল। কমলা গাছের ডালে থোকা থোকা হলুদ রঙের কমলা ঝুলছে।
কমলার ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালপালা। এ যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। আর এ অপরূপ মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে স্থানীয়দের মতো প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো মানুষ আসছেন এই বাগানে। বাগানটি দেখে উচ্ছ্বসিত হচ্ছেন অনেক মানুষ।
বাগানেই বিক্রি হচ্ছে এসব কমলা। এখানকার কমলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সরবরাহ হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। কমলা বাগানের ফলে যেমন পুষ্টি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে তেমনি অনেকের হয়েছে কর্মসংস্থান।
Leave a Reply