রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক প্রামানিক। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকায় নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

আবদুর রাজ্জাক প্রামানিক বলেন, ‘শহীদ সেকেন্দার মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমি আমার নিজের ভোটটা দিতে গিয়েছিলাম। নৌকার সমর্থকরা আমাকে আমার ভোটটাই দিতে দেয়নি। কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও এমন হয়েছে যে প্রার্থী তার নিজের ভোট দিতে পারেননি? এমন ভোটে থেকে লাভ কী?’

এ সময় ভোটকেন্দ্রে তাকে লাঞ্ছিতও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই মেয়র প্রার্থী। এর প্রতিবাদে তিনি ভোট বর্জন করছেন বলে জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট নেই। সবাইকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আবদুল মালেক বলেন, ‘এখন বেলা ১১টা। ভোট যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন ভোট বর্জন করে লাভ আছে?’

তিনি বলেন, ভোট বর্জনের কথা এখনো শুনিনি। সব জায়গায় বিএনপির এজেন্ট আছে। শুনলাম ১৫-২০ জন নিয়ে গিয়ে বিএনপি প্রার্থী ভোট দিয়েছেন। এখন নিশ্চিত পরাজয় দেখে হয়তো ভোট বর্জন করছেন।’

ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ব্যালটেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এ পৌরসভায় মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়া অন্য দুজন হলেন- স্বতন্ত্র এসএম মামুনুর রশীদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) এবং কামাল হোসেন। কামালের প্রতীক নারিকেল গাছ আর মামুনুর রশীদের প্রতীক জগ।

বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর তিনটি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্য দুটি পৌরসভা হলো- গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট এবং বাঘা উপজেলার আড়ানী।