আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইহকাল ত্যাগ করেন তিনি। ফুটবল জাদুকরের বিদায়ে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় এরই মধ্যে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক শুরু হয়েছে। শুধু
বিশ্বনন্দিত ফুটবল সাংবাদিক ব্রায়ান গ্ল্যানভিল একবার লিখেছিলেন, দিয়েগো ম্যারাডোনা হলেন ফুটবলের সেই ছুরি যা দিয়ে মসৃণভাবে রুটির ওপর মাখনের পালিশ দেয়া যায়, ফল কাটাও যায়, আবার মাংস দ্বিখণ্ডিতও করা যায়।
দিয়েগো ম্যারাডোনা আর নেই। তিনি রেখে গেছেন ফুটবলের এক স্বর্ণালী অধ্যায়। দেশবিদেশে তার কোটি কোটি ভক্ত। তাদের উদ্দেশে তার ছবির উপস্থাপনা
ব্রেনে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল তার। দু’সপ্তাহ আগে অপারেশন করে তা দূর করানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বুয়েন্স আয়ারসের বাড়িতে ফিরেছেন ফুটবলের কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। কিছুটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিলেন। কিন্তু বুধবার
দিয়াগো ম্যারাডোনা আর নেই। এটিই সত্য। ফুটবলের জাদুকর। ফুটবলের রাজপুত্র। চোখবন্ধ করে মানুষটির যে অবয়ব সকলের সামনে ভেসে ওঠে তা আর কিছু নয়, মাঠে ছুটে ফিরছেন পায়ে ফুটবল নিয়ে। আর
১৯৮৬ বিশ্বকাপে বলতে গেলে একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মেক্সিকো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে মাঝ মাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় কয়েকজনকে কাটিয়ে একাই গোল করেছিলেন
আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। আর্জেন্টিনার শহর স্যান ইসদ্রোর প্রসিকিউটর জন ব্রোয়েট বুধবার জানান, তার শরীরে ‘কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই’ এবং সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তার
পেলে না ম্যারাডোনা- তর্কে জেরবার ভক্তকূল। কত কথা বছরের পর বছর ধরে দুই কিংবদন্তীকে ঘিরে। ব্রাজিলের ফুটবলের কালো মানিক পেলে এখনো বেঁচে আছেন সত্তুর পেরিয়েও। কিন্তু ষাটে পা দেয়ার পরই
২৫.১১.২০২০ তারিখটি বিশ্ব ফুটবল প্রেমিদের কাছে স্মরণীয় থাকবে। যারা আর্জেন্টাইন ফুটবল ভালোবাসেন, তারা হয়ত কখনই ভুলবেন না এই তারিখটি- কারণ, এদিন পরপারে চলে গেছেন নান্দনিক ফুটবলের ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। জানেন
ডিয়েগো ম্যারাডোনার খেলা দেখে বড় হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তির পায়ের জাদু তার মন জয় করে নিয়েছিল ছেলেবেলায়। আর তাই ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ আর্জেন্টিনার সমর্থক।