গোপালগঞ্জে ছয় যানবাহনের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই (সহকারী ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর) রফিকুজ্জামান এবং খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার দেবেনবাবু রোডের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ব্যাপারীর ছেলে ও আরমান পরিবহনের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী আরমান পরিবহনের একটি বাস গোপীনাথপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যাত্রীদের উদ্ধারকালে দ্রুতগতিতে আসা আরও তিনটি বাস ও একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
রাত আড়াইটা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত চলা এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এটিএসআই রফিকুজ্জামান ও হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক উত্তম রায় বলেন, ভোর থেকেই আহত রোগী আসতে শুরু করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে বলেশ্বর পরিবহনের চালক ইব্রাহিম ও সহকারী রোহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শনিবার রাতে খুলনার উদ্দেশে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। ভোর চারটার দিকে মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি।এ সময় একই দিক থেকে আসা আরমান পরিবহন, এসপি গ্রিনলাইনসহ আরও একটি বাস এবং একটি প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে।
এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর ওই মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Leave a Reply