যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক সমঝোতায় পৌঁছাতে তিনি ইরানকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হয়, তাহলে এর পরিণতি ভালো হতে পারবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি করেছিলেন।
ইরান সেই আলটিমেটামে কর্ণপাত না করার কারণেই ৬১তম দিনে দেশটি হামলার মুখে পড়েছে। ইরানে হামলা শুরু হওয়ার পরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ওনাদেরকে ৬০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, আজ হচ্ছে সেই আলটিমেটামের ৬১তম দিন।’
রোববার সকালে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন,
ইরানে যে হামলা হয়েছে, এর সাথে ওয়াশিংটনের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।
তিনি আরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘ইরান যদি যে কোনো উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করে, তাহলে মার্কিন সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ শক্তিতে ও অল্প সময়ের মধ্যেই পাল্টা আঘাত হানবে।’
তবে তিনি আশাবাদও প্রকাশ করেছিলেন যে চাইলে অল্প সময়ের মধ্যেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলে সহজেই এই রক্তক্ষয় বন্ধ করার সমাধান দিতে পারি।’
রাতে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ১০ জন নিহত
ইরানের শনিবার রাতের হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। জরুরি সেবা কর্মীরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইসরায়েলের একটি উদ্ধার সংস্থা জানিয়েছে, বাট ইয়াম নামের একটি উপকূলীয় শহরে একটি ভবনে সরাসরি আঘাত হানা হয়েছিল সেখানে ছয়জন মারা যান। এছাড়া তামরা শহরে আরও চারজন নিহত হন। সেখানেও ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের পাল্টা হামলা
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের বিভিন্ন স্থানের ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র এবং আরও কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাতে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ কেন্দ্র চিহ্নিত করে হামলা চালানো হয়েছে। এবং গত এক ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী পশ্চিম ইরানের মজুত কেন্দ্র ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় আরও কিছু হামলা সম্পন্ন করেছে।’
এর আগেও ইসরায়েল তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে হামলা চালায়। এছাড়াও রাজধানীর কাছে একটি তেলের গুদাম ও একটি জ্বালানির ট্যাঙ্কেও আঘাত করে তারা।
ইরান এখনো ইসরায়েলের এই হামলায় কতজন মারা গেছে বা আহত হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
Leave a Reply