রাজনীতি-সচেতন সবার দৃষ্টি ছিল গতকাল শুক্রবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের দিকে। বহুল প্রত্যাশিত এ বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদ, সংস্কার ও জুলাই হত্যাকা-ের বিচারসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে উভয়পক্ষই একমত হয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে ড. ইউনূস ও তারেক রহমান নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরে এসে আগামী বছরের রমজানের সপ্তাহখানেক আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। এর ফলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সঙ্গত কারণেই প্রত্যাশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচন, সংস্কার, জুলাই হত্যাকা-ের বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেই দূরত্বেরও অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরাও দ্রুত হবে। এ বিষয়ে খুব শিগগির তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে বিএনপি সূত্রের তথ্য।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানুজ্জামান আমাদের সময়কে বলেন, নির্ধারিত এ বৈঠকের দিকে পুরো দেশবাসীই তাকিয়ে ছিল। এটা একটা ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে এমন ধারণাই ছিল সবার। সরকার ও বিএনপির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আমরা এরই প্রতিফলন দেখলাম। নির্বানের আগে সংস্কার ও বিচারের বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জুলাই সনদের বিষয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তাও কেটে গেছে; যা রাজনৈতিক পরিম-লে ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপক্ষের প্রতিনিধিরা তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকপরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
খলিলুর রহমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বৈঠকের আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। পরে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টার দিকে ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের পরিচালনায় যৌথ সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কথা বলেন খলিলুর রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে একটি যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এতে বলা হয়, অত্যন্ত সৌহার্দমূলক পরিবেশে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচার বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এ অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান।
লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে তো আলোচনা চলছে দেশে এবং এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত আছে যে, ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে। তিনি আরও বলেন, সংস্কারের ব্যাপারেও একই উত্তর আমাকে দিতে হয় যে, ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সংস্কার ও জুলাই সনদ-দুটোই করব। সবার ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং আমি নিশ্চিত, খুব কম সময়ের মধ্যে আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সম্পূরক প্রশ্নেরও জবাব দেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ঐকমত্য যেখানে হবে, স্বাভাবিকভাবে ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে সিদ্ধান্ত হবে, স্বাক্ষরিত তো হবেই, না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
অপর এক প্রশ্নে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, এর কোনো সমস্যাই নেই। আমরা কোনো সমস্যা দেখছি না, কেউ দেখলে পরে এটা ভুল দেখছেন। নির্বাচন সম্পর্কে আজ যৌথ বিবৃতিতে আমরা দুপক্ষই বলে দিয়েছি। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন শিগগিরই একটা তারিখ ঘোষণা করবে।
বৈঠকে কি শুধু নির্বাচন নিয়েই কথা হয়েছে, নাকি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, সব বিষয়ে আলোচনা হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। সবাই আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐকমত্যে এসেছি, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও সেটা আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
সংস্কার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এটা তো পরিষ্কার। এখানে না বোঝার কোনো কারণ নেই। বিষয়টা হচ্ছে সংস্কার। প্রধান উপদেষ্টা সাহেব, তারেক রহমান সাহেব আমরা সবাই একই কথা বলছি, যে বিষয়গুলোতে তো ঐকমত্য হবে, সেগুলোই তো সংস্কার হবে, তাই না? তিনি আরও বলেন, সংস্কারের বিষয় একটা চলমান প্রক্রিয়া। এমন না যে সব সংস্কার এখনই শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচনের আগেও কিছু সংস্কার হবে, যেখানে ঐকমত্য হবে আর নির্বাচনের পরও সংস্কার অব্যাহত থাকবে। কারণ, আমরা যে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়েছি, সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সবাই অনুভব করছে। সুতরাং আগে-পরে সংস্কার চলতে থাকবে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান সাহেব যখনই ইচ্ছা দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, সময়মতো।
জুলাই গণহত্যার বিচার, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, যৌথ বিবৃতিতে এর উত্তর দেওয়া আছে। সংস্কার ও বিচার- এই দুই বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতির কথা বলা হয়েছে এবং আমরা মোটামুটি কনফিডেন্ট (আত্মবিশ্বাসী) যে এই অগ্রগতি আমরা নির্বাচনের আগেই দেখতে পাব। খলিলুর রহমানের কথার সঙ্গে আমীর খসরু যুক্ত করেন, ‘সম্পন্ন করা যাবে।’
নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি নির্বাচন কমিশনের সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে এখানে আলোচনার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। এ প্রশ্নে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানও কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা তাদের (এনসিপি) জিজ্ঞেস করুন। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব মতামত আছে। তবে আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচনটা করতে চাচ্ছি।
আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তাহলে কি আমরা বলতে পারি যে, এপ্রিলে ঘোষিত যে নির্বাচনের রূপরেখা, সেখান থেকে সরকার কিছুটা সরে আসতে চাচ্ছে বা আসবে? এর উত্তরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, যৌথ ঘোষণায় এই বিষয়টি সুস্পষ্টই বলা আছে। আপনারা শুনেছেন। যদি সব কাজ সময়মতো আমরা করতে পারি এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেটা করা যেতে পারে। খলিলুর রহমানের এ উত্তরের সঙ্গে আমীর খসরু তার কিছু কথা যুক্ত করেন। তিনি বলেন, বৈঠকটা প্রথমে আমাদের দুই সাইডের ডেলিগেশনের (প্রতিনিধি দল) সঙ্গে হয়েছে এবং পরে তারা দুজন (অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমান) ওয়ান-টু-ওয়ান দীর্ঘ সময় আলোচনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শেষ প্রশ্ন ছিল, আপনারা কি সন্তুষ্ট? এ প্রশ্নের উত্তর সমস্বরে উত্তর দেন খলিলুর রহমান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দুজনই বলেন, ‘নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট।’ এর সঙ্গে আমীর খসরু বলেন, আমরা তো বলছি, নির্বাচনের পরও নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনের শেষ বাক্যে খলিলুর রহমান বলেন, সন্তুষ্ট না হলে তো যৌথ ঘোষণা আসার কথা নয়।
কিংসটনের বাসা থেকে পার্ক লেনের ডরচেস্টার হোটেলের উদ্দেশে লন্ডন সময় সকাল পৌনে ৭টায় বাসা থেকে বের হয় তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িটি। সামনের সিটে বসা তারেক রহমানকে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন গাড়ি চালিয়ে হোটেলের উদ্দেশে নিয়ে যান। ডরচেস্টার হোটেলে পৌঁছান সকাল পৌনে ৯টায়।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে হাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে সকাল ৬টা থেকেই হোটেল এলাকায় জমায়েত হন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা একযোগে করতালি দিয়ে এবং উচ্চৈঃস্বরে স্লোগান দিয়ে প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানান। তারেক রহমানও নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে জবাব দেন। হোটেলের সামনে পৌঁছলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকের জন্য পূর্বনির্ধারিত হোটেল কক্ষের কাছাকাছি পৌঁছলে তারেক রহমানকে কয়েক কদম এগিয়ে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে অভ্যর্থনা জানান ড. ইউনূস। এরপর উভয় নেতা বৈঠকে বসেন। তার আগে সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন ড. ইউনূস ও তারেক রহমান।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুটি বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন খলিলুর রহমান ও শফিকুল আলম। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। বৈঠকে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ড. ইউনূস বলেন, খুব ভালো লাগছে। তারেক রহমান বলেন, আমারও ভীষণ ভালো লাগছে। আই ফিল অনার্ড। ড. ইউনূস বলেন, আসুন। চলুন বসি। তারেক রহমান বলেন, আপানার শরীর কেমন? ভালো আছেন? ড. ইউনূস বলেন, এই যাচ্ছে। কেটে যাচ্ছে। তারেক রহমান বলেন, আম্মা সালাম জানিয়েছেন আপনাকে। ড. ইউনূস বলেন, উনি অসাধারণ মানুষ। তারেক রহমান বলেন, আজকের আবহাওয়াটা বেশ ভালো, দারুণ। হোটেলটাও ভালো জায়গায়। ব্রিটেনে হাঁটার জন?্য খুব ভালো ব?্যবস্থা আছে। আমি যেখানটায় থাকি ওখানে পার্কে হাঁটাহাঁটি করা যায়।
দ্বিতীয় দফায় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়ান-টু-ওয়ান রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পার্ক লেনের হোটেল থেকে তারেক রহমান হাস্যোজ্জ্বল মুখে বের হয়ে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর গাড়িতে চড়ে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। বৈঠকের খবর যখন ঢাকায় পৌঁছায়, তখন নেতাকর্মীদের মাঝে এক বিজয়ের হাসি দেখা যায়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচন এগিয়ে আনার বার্তাকে দেশের গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ, বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply