1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন

এই বিল জঘন্য, আমেরিকাকে দেউলিয়া করছে: ইলন মাস্ক

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত বাজেট বিল নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। সদ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একাধিক পোস্টে তিনি ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নামের বাজেট প্রস্তাবটিকে “অযৌক্তিক ও বিপজ্জনক” বলে আখ্যায়িত করেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ( ৩ জুন) মাস্ক সরাসরি অভিযোগ করেন—এই বাজেট পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “এমন বাজেট একেবারে মেনে নেওয়ার মতো নয়। যারা এটি সমর্থন করেছেন, তাদের আত্মসমালোচনা করা উচিত।”

তিনি দাবি করেন, নতুন বিলটির কারণে ঘাটতি বাড়বে প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জাতীয় ঋণ আরও কয়েক ট্রিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, “আমেরিকান জনগণকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে।”

বিলে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাথমিক করছাড় নীতির মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ৪৬.৫ বিলিয়ন ডলার। তবে সেই অর্থ জোগাড়ের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, যেমন মেডিকেইড ও খাদ্য সহায়তা বাজেট থেকে কাটা পড়বে বিপুল অঙ্কের টাকা।

ডেমোক্রেটরা ছাড়াও রিপাবলিকানদের একটি অংশ এই কাটছাঁট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসে পাস হওয়া বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন কেবল দু’জন রিপাবলিকান, যদিও তাদের দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে হাউসে। ডেমোক্রেটরা একযোগে বিরোধিতা করলেও বিলটি ২১৫–২১৪ ভোটে পাশ হয়।

মাস্কের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান থমাস ম্যাসি এবং সিনেটর র‍্যান্ড পল। তাদের মতে, বিলটি সরকারি ব্যয়ের লাগামহীনতা তুলে ধরেছে। র‍্যান্ড পল এক টুইটে বলেন, “এই ধরনের ঋণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।”

তবে ট্রাম্প এই সমালোচনায় কর্ণপাত না করে বরং মাস্কের সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি একটি ‘বিগ গ্রোথ বিল’। কেউ কেউ সব কিছুরই বিরোধিতা করে, কিন্তু সঠিক বিকল্প দিতে পারে না।”

উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক সম্প্রতি সরকারি ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে গঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার প্রস্তাবিত ব্যয় সংকোচন কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগে মামলা হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগের কিছুদিন পরই বাজেট বিল নিয়ে এই প্রকাশ্য অবস্থান তার ও ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যদিও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মাস্কের মতভেদ সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট তার দক্ষতার মূল্যায়ন করেন।

এনিয়ে মাস্ক বলেন, “বিল বড় হতে পারে, সুন্দরও হতে পারে—কিন্তু দুটো একসাথে হলে সেটি হয় জনসাধারণের বিপদ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com