শেষ ১৫ দিনে ক্রিকেটমাঠে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অবস্থা চরম হতাশাজনক। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অপেক্ষাকৃত কম শক্তির দলের কাছে সিরিজ হারের পর হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে কোনো লড়াই-ই করতে পারেনি লিটন দাসের দল।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২০৫ রান করেও এক ম্যাচে হার দেখেছিল বাংলাদেশ। তখন লিটন দাস বলেছিলেন, বোলারদের শারজাহ স্টেডিয়ামের মতো ছোট মাঠের কৌশল রপ্ত করতে হবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার ম্যাচে ১৯৬ রান করে ৭ উইকেটে উড়ে গেছে টাইগাররা। এই ম্যাচে অন্য একটি বিষয় শেখার কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
লিটন বলেন, ‘এটি খুব ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানকে কীভাবে বোলিং করতে হয়, আমাদের শিখতে হবে। একেক ব্যাটসম্যানের একেক রকম শক্তি ও দুর্বলতা থাকে। আমাদের এসব নিয়ে ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বোলিং করতে হবে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে ২০২ রান তাড়া করতে নেমে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই দুই ম্যাচে দলের ব্যাটিংকে দুষেছেন লিটন। তবে তৃতীয় ম্যাচের ব্যাটারদের পারফম্যান্সে খুশি তিনি, ‘অবশ্যই (হতাশ)… আমরা ভালো বোলিং করিনি। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো করিনি। সম্ভবত এই ম্যাচে এই উইকেটে খুব ভালো ব্যাটিং করেছি।…(পারভেজ হোসেন) ইমন ও (তানজিদ হাসান) তামিম খুব ভালো শুরু করেছে। শুধু তামিম ও ইমন নয়, বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের কাজটা করেছে।’
বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে লিটন বলেন, ‘দর্শক অসাধারণ ছিল। তারা সবাই সমর্থন দিচ্ছিল। দুই দলকেই সমর্থন দিয়েছে। খুব উপভোগ করেছে খেলা। আশা করি, পাকিস্তান আবার যখনই খেলবে, তারা মাঠে খেলা দেখবে। আর বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
Leave a Reply