ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক হুমাযুন কবির রাজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছেন দুই সন্তানের জননী। ওই নারীর দাবি, রাজন তাকে বিয়ে করেছেন। তার পরামর্শে আগের স্বামীকে তালাকও দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজন। তার দাবি, ওই নারীর চরিত্র ভালো না।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে চরফ্যাশন পৌরসভা ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মাস্টার মহল্লার রাজনের বাড়িতে অবস্থান নেন খাইরুন নেছা পুষ্প (৩০) নামের ওই নারী।
পুষ্প ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ইউনিয়নের আবদুল খালেকের মেয়ে। ১০ বছর আগে চরফ্যাশন উপজেলার আবু বকরপুর ইউনিয়নের কাশেম মিঝির ছেলে মো. আমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। সেই ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুষ্প জানান, রাজন তার স্বামীর ফুফাতো বোনের জামাই। ২০২৩ সালে রাজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সম্পর্কের জেরে প্রায়শ তাদের বাড়িতে যেত এ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। কথা হতো মেসেঞ্জারে। একটা সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পরকীয়া প্রেমে জড়ান তারা।
তিনি আরও জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেন রাজন। সেখানে নিয়ে বিয়ের আশ্বাসও দেন। সেই মোতাবেক চট্টগ্রামের বাইজিদ থানার পাহাড়িকা আবাসিক এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। কিছুদিন থাকার পর স্বামী আমানকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দেন। রাজনের পরামর্শে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বামীকে তালাক দেন পুষ্প। গত বছরের জুলাই মাসে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের কিছুদিন পরই গর্ভবতী হন পুষ্প।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরই আত্মগোপনে চলে যান রাজন। এরপর থেকেই পুষ্পের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন তিনি। রাজনৈতিক সমস্যা দেখিয়ে অনাগত সন্তান নষ্টের পরামর্শ দেন। তার কথা মতো সন্তান নষ্ট করেন পুষ্প। এরপর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রাজন।
অভিযোগের বিষয়ে রাজন বলেন, ‘আজকের এ পরিস্থিতির জন্য আমার স্ত্রী দায়ী। তার আত্মীয়তার সূত্র ধরেই এ মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটার চরিত্র ভালো না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply