বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার পল্টনে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। এই এলাকার মাত্র ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিএস প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল-ভিত্তিক অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র ফুটে উঠেছে।
জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৯.১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।
২০১৭ সালের ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা হলো দৈনিক আয় ২.১৫ ডলার। অর্থাৎ, দৈনিক ২.১৫ ডলারের কম আয় করা মানুষ দরিদ্র বলে গণ্য হবেন।
ঢাকায় দারিদ্র্যের হার কম এমন এলাকাগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ধানমন্ডি– যেখানে মাত্র ১.৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। এরপরে রয়েছে গুলশান (৩.২ শতাংশ), মোহাম্মদপুর (৪.৬ শতাংশ), রামপুরা (৬.৩ শতাংশ), বাড্ডা (৭.৪ শতাংশ), বনানী (১১.৩ শতাংশ) এবং মিরপুর (১২.৯ শতাংশ)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা জেলার সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার ১৯.৬ শতাংশ। আর সামগ্রিকভাবে দেশের দারিদ্র্যের হার ১৯.২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেশজুড়ে বিত্তশালী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তর অর্থনৈতিক বৈষম্যের চিত্র উঠে এসেছে। দেশে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলোকেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ২০.৩ শতাংশ; শহরাঞ্চলে এই হার ১৬.৫ শতাংশ।
এছাড়া, মাদারীপুর জেলায় দেশের সবচেয়ে বেশি ৫৪.৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। অন্যদিকে, নোয়াখালীতে এই হার সবচেয়ে কম। এই জেলায় মাত্র ৬.১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।
উপজেলা-ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মাদারীপুরের ডাসার দেশের দরিদ্রতম উপজেলা। এখানকার ৬৩.২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র্য।
Leave a Reply