লা লিগায় টানা চার ম্যাচ পয়েন্ট হারানোর পর একেবারে জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
রবিবার রাতে ঘরের মাঠে জোড়া গোল করেছেন ফের্মিন লোপেস। একটি করে রবের্ট লেভান্ডভস্কি, রাফিনিয়া, ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও ফেররান তরেস। অন্যটি ভালেন্সিয়ার আত্মঘাতী।
এদিন তৃতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পায়ের কারিকুরিতে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে ডি-বক্সে ক্রস করেন লামিনে ইয়ামাল। অরক্ষিত ডি ইয়ং প্রথম স্পর্শে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেকটা শুয়ে পড়ে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন। কিছুই করার ছিল না ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক জিওর্জি মামার্দাশভিলির।
পরে অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরেস। আলেহান্দ্রো বাল্দের চমৎকার ক্রসে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে প্রথম স্পর্শে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
প্রতি-আক্রমণ থেকে চতুর্দশ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের ব্যাকহিলে বল পেয়ে যান লোপেস। প্রথম স্পর্শে এই তরুণ খুঁজে নেন রাফিনিয়াকে। বিপদ দেখে ডি-বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন মামার্দাশভিলি। তাকে এড়িয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
আর ২৪তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করে ফেলেন লোপেস। মাঝমাঠ থেকে পাউ কুবার্সির বাড়ানো বল প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, একটু এগিয়ে জোরাল শটে জালে পাঠান এই তরুণ। শুরুতে অফসাইডের ইশারা দেন রেফারি। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান তিনি।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ফের জালের দেখা পান লোপেস। রাফিনিয়ার বুলেট গতির শট ক্রসবার ও পোস্টের সংযোগস্থলে লেগে ফিরলে সুযোগ পেয়ে পান লোপেস। ছুটে গিয়ে নিচু শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
বিরতির পর অনেকটা খেলার ধারার বিপরীতে ৫৯তম মিনিটে ব্যবধান কমায় ভালেসন্সিয়া। দিয়েগো লোপেসের ক্রসে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন দুরো।
তবে ৬৬তম মিনিটে ফের ৫ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লোপেসের কাছ থেকে বল পেয়ে দুই স্পর্শে জায়গা করে নিয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন একটু আগে রাফিনিয়ার বদলি নামা লেভান্ডভস্কি।
৭৫তম মিনিটে তরেসের শট আবার ঠেকিয়ে দেন ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক; কিন্তু বিপদ কাটেনি পুরোপুরি। ফিরতি বলে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন সেসার তারেগা।
লিগে ২১ ম্যাচে ১৩ জয় ও তিন ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ফিরেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় রেয়াল মাদ্রিদ, ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৯ নম্বরে আছে ভালেন্সিয়া।
Leave a Reply