বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলছে এখন। খেলা হচ্ছে বিজনেস এন্ডের, একটা ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিতে পারে দলের সেমিফাইনাল-ভাগ্য। ঠিক সেই সময়েই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুশীলন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের পাবে না দল।
বিপিএল দেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। তবে তার ঠিক পরেই শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তাই ক্রিকেটারদের দম ফেলার ফুরসত নেই আদৌ। বিসিবিও তৈরি করছে ঠাসবুনটের সূচি।
বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স আপাতত ছুটিতে আছেন। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে তিনি ফিরবেন ঢাকায়। বিপিএলের ঢাকা পর্ব মাঠে বসে দেখবেন তিনি। দলের সবার পারফর্ম্যান্স কেমন তা পরখ করবেন, তাকে সাহায্য করবেন সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
তা শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তিনি চলে যাবেন চট্টগ্রামে। সেখানে সে সপ্তাহেই শুরু হবে বাংলাদেশ দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প।
চট্টগ্রামে অনুশীলনের কারণ হচ্ছে পাকিস্তান ও আমিরাতের উইকেট। রানপ্রসবা উইকেট হিসেবে সুনাম আছে এই দুই দেশের উইকেটের। এদিকে আইসিসি ইভেন্টের উইকেটও ঐতিহ্যগতভাবে ব্যাটিং সহায়কই হয়। আর এই চরিত্র বাংলাদেশের উইকেটগুলোর মধ্যে চট্টগ্রামেই সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সে কারণেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ দলের এই অনুশীলন বিপিএলের শেষ সপ্তাহের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই কারণে কোচ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে সব খেলোয়াড় হাজির থাকবেন, তাদের নিয়েই চলবে অনুশীলন।
কোচের এই সিদ্ধান্তের ফলে আঁচ করা যাচ্ছে, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম, অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শুরু থেকে অনুশীলনে পাবে না বাংলাদেশ দল। কারণ তিন জনই খেলেন একই দলে। তাদের দল ফরচুন বরিশালের প্লে অফ প্রায় নিশ্চিতই, এদিকে রংপুর রাইডার্স আছে বিপিএলের শীর্ষে। যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াডের ৭ ক্রিকেটারকে শুরু থেকেই পাবে না দল।
বিপিএল শেষেও কত দিন অনুশীলনে তাদের পাওয়া যাবে, তা নিয়েও আছে শঙ্কা। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য দেশ ছাড়বে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। অনুশীলন পর্ব তার অনেক আগেই শেষ হওয়ার কথা। তাই এই অনুশীলন ক্যাম্পের একটা বড় অংশ অভিজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের ছাড়াই করতে হবে দলকে।
Leave a Reply