আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিলে গণভবনের মতো পরিণতির হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনালের (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে উদ্দেশ্য করে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
একইভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এদিকে ছাত্রদের এইহুঁশিয়ারির পর মুখ খুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের একটি বড় দল হিসেবে পুনরায় সংগঠিত হতে বললেন, একই সাথে এ দেশের স্বাধীনতা যে আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এসেছে সেটাও উল্লেখ করলেন।
তার এই সৎ পরামর্শ কোনভাবেই মেনে নিতে পারলো না সেই একই ‘মব’, উল্টো তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমার মায়ের মতোই পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকিও দিলো।’
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব) সাখাওয়াত হোসেন আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দলটির প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। এক সময় বাঙালিদের ভরসার জায়গা ছিল, এটা জাতীয় সম্পদ। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি।’
আওয়ামী লীগকে নতুন মুখ নিয়ে দল গোছানোর আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘লোক জড়ো করুক আর যা-ই করুক, আমি আপনাদের একটা অনুরোধ করি, এমন কিছু করবেন না যে আপনাদের (আওয়ামী লীগ) জীবন বিপন্ন হয়। এ দেশের পাবলিক এখনো আপনাদের গ্রহণ করতে আসেনি। আমি বরং মনে করি, আপনারা আপনাদের পার্টি রি-অর্গানাইজ (পুনর্গঠন) করুন। আপনারা পার্টি গোছান উইথ নিউ ফেস (নতুন মুখ নিয়ে), উইথ নিউ অঙ্গীকার এবং আশা করি, উইথ থ্রু পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট।’
তার এসব বক্তব্যের প্রতিবাদে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল।
গতকাল সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে ‘খুনি শেখ হাসিনার বিচার দাবি ও ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি বন্ধের’ দাবিতে সমাবেশ হয়। এ সময় খুনিদের পুনর্বাসন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ উপদেষ্টাদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন এবং তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের আসামি করে মামলা করার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। একই দাবিতে ১৫ আগস্ট রাজপথে নামার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তারা বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গণমাধ্যমকেও জনগণের কাতারে থেকে সংবাদ প্রচারের আহ্বান জানান।
Leave a Reply