‘হামাস আসছে’- এমন বক্তব্য লেখা হলো ওয়াশিংটন ডিসির বিশেষ পরিচিতি স্মারক ক্রিস্টোফার কলম্বাস মেমোরিয়াল ফাউন্টেনে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বুধবার মার্কিন কংগ্রেস বক্তৃতা প্রতিবাদে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা এ কাজ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ওই স্থান থেকে মার্কিন পতাকা সরিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা বসিয়ে দেয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পক্ষে আরো অনেক স্লোগান লিখে রাখে। পরে কর্তৃপক্ষ সেগুলো মুছে ফেলে।
প্যালেস্টাইন অ্যাসেম্বলি ফর লিবারেশন-আওদায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে ‘হামাস আসছে’ ছাড়াও ’গাজা মুক্ত করো,’ ‘সকল জায়নিস্ট জারজ সন্তান’ ইত্যাদি গ্রাফিতি দেখা যায়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন করার সময় ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেয়া হয়। এ সময় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা চেহারা-সংবলিত একটি পতাকাও উড়ানো হয়। আর তখন স্লোগান দেয়া হয়, ‘বিবিকে [নেতানিয়াহু] ফাঁসি দিতে হবে।’
এক নারী বিক্ষোভকারীকে কেফিয়ের ওপরে হামাসের হেডব্যন্ড পরতে দেখা যায়। ওই দিনের ঘটনা নিয়ে ফক্স নিউজে একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তাতে এক নারীকে হামাসের মুখপাত্র ‘উম ওবায়দা’ লেখা হেডব্যান্ড পরে থাকতে দেখঅ গেছে। তার ক্যামোফ্ল্যাক্স জ্যাকেটে আস-কাসসাম ব্রিগেডের লোগো ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ স্লোগান দেয়, ’নেতানিয়াহু, তোমাকে মূল্য দিতে হবে, প্রতিরোধই একমাত্র পথ। সমাধান আছে একটিই- ইন্তিফাদা বিপ্লব।’
বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটলে নেতানিয়াহুর মোটরবহরে প্রবেশ করতে চাইলেও নিরাপত্তা বাহিনী তা থেকে তাদেরকে বিরত রাখে।
ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার বাহিনী চলাচলে বাধা দেয়ার জন্য পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের ইউনিয়ন স্টেশনের বাইরে তার ভাষায় ‘দেশপ্রেমহীন বিক্ষোভকারীদের ঘৃণিত কাজের’ নিন্দা করেছেন।
তিনি বরেন, ‘আমি আমেরিকান পতাকা পোড়ানোর নিন্দা করছ। এই পতাকা জাতি হিসেবে আমাদের সর্বোচ্চ আদর্শের প্রতীক এবং আমেরিকার প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। এমনভাবে এর অমর্যাদা করা উচিত নয়।’
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply