কোপা আমেরিকার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। গোলশূন্যভাবে শেষের পর এখন অতিরিক্ত সময়ে গড়াচ্ছে ফাইনাল। উল্লেখ্য, কোপার ফাইনালেই কেবল অতিরিক্ত সময় রাখা হয়েছে। অন্য সব ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের পর পেনাল্টি শ্যুট আউটের মাধ্যমেই শেষ হয়েছে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে কলম্বিয়ার প্রাধান্য দেখা গেলেও আর্জেন্টিনাও বেশ কয়েকটি সুযোগ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনা বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেয়েছিল। ৯১ মিনিটে ডি মারিয়া যদি ভারসাম্য না হারাতেন, তবে সেখানেই খেলা শেষ হয়ে যেত, আর্জেন্টিনা শিরোপার জয়ের হাসিতে মেতে থাকত।
এছাড়া ৮৭ মিনিটে নিকো গঞ্জালেসের হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। আর একটু হলেই এগিয়ে যেত আর্জেন্টিনা।
এর আগে চোট পেয়ে ৬৬ মিনিটের সময় চোট পেয়ে ওঠে যান মেসি। চোট পেয়েছিলেন প্রথমার্ধেই। দৌড়তে গিয়ে আবার পুরনো জায়গাতেই চোট পেলেন মেসি। মাঠ ছাড়তে হল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে।
৫৮ মিনিটে ডি মারিয়া বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু বিপক্ষ গোলকিপার ডি মারিয়ার শট বাঁচিয়ে দিলেন।
প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে হাতছাড়া হয় সুযোগটি। বিপজ্জনক জায়গায় নিকোলাস তাগলিয়াফিকোকে ফাউল করেন আরিয়াস। ফ্রি-কিক নেন মেসি। বক্সের মাঝখান থেকে হেডার তাগলিয়াফিকোর। তবে বলটা নিচে রাখতে পারেননি। বিপদ হয়নি কলম্বিয়ার।
প্রথমার্ধে বল পজেশনের নিরিখে এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। ৫২.২ শতাংশ বল পজেশন ছিল কলম্বিয়ার। আর্জেন্টিনার বল পজেশন ছিল ৪৭.৮ শতাংশ। কলম্বিয়া গোলে শট নেয় আটটি। এর মধ্যে পোস্টে ছিল চারটি। আর্জেন্টিনা গোলে শট নেয় তিনটি। এর মধ্যে এটি ছিল গোল পোস্টে।
ম্যাচে আর্জেন্টিনার ভাগ্যটা অবশ্য ভালোই বলতে হবে। জন কর্দোবার শট সপ্তম মিনিটে ফিরে আসে গোলবার থেকে। এরপরেও অবশ্য হাল ছাড়েনি কলম্বিয়া। পুরো ৪৫ মিনিটেই দাপট ছিল তাদের। একের পর এক শট নিয়েছে আর্জেন্টিনার গোলমুখে। এমি মার্টিনেজ অন্তত তিনবার দলকে রক্ষা করেছেন নিশ্চিত গোলের মুখ থেকে।
কলম্বিয়ার বিপুলসংখ্যক সমর্থক হাজির হয়েছে মাঠে। গ্যালারিতে চারদিকে হলুদের সয়লাব।
ফ্লোরিডার হার্ডরক স্টেডিয়ামে কোপা ফাইনালের কিক-অফ হয় নির্ধারিত সময়ের ৮০ মিনিট পর। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হতে দেরি হয়।
Leave a Reply