জর্ডানে সরকারি ভবনের সামনে নিজ শরীরে আগুন দিয়েছেন এক যুবক। গাজায় গণহত্যা চালানো সত্ত্বেও ইসরাইলের সাথে জর্ডানের সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার প্রতিবাদে তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জর্ডানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আকাবায় একটি সরকারি ভবনের বাইরে এক ব্যক্তি নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ঠিক কী কারণে নিজের শরীরে আগুন দিয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই গাজায় চলমান হামলায় ইসরাইলি বাহিনীকে সহায়তা করায় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন তিনি।
শুক্রবার সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আকাবা শহরের রাজপ্রাসাদের সামনে গায়ে আগুন দেয়ার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জর্দানের একজন নিরাপত্তা রক্ষীকে আগুনে জ্বলতে থাকা ব্যক্তির ওপর গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই জর্দানি তরুণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে কেউ কেউ এ ঘটনাকে ২০১১ সালে তিউনিশিয়ার ফল বিক্রেতা মোহাম্মাদ বুআজিজির আত্মহত্যার সাথে তুলনা করেছেন। তিউনিশিয়ার পুলিশের হয়রানি ও বেকরত্বের প্রতিবাদে বুআজিজি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তার আত্মহত্যার জের ধরে তিউনিশিয়ার তৎকালীন স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে শুরু হয় আরব বসন্ত।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরাইলিকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে বন্দী করে। এখনো হামাসের কাছে ১২১ জন বন্দী হিসেবে আটক রয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর ইসরাইল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনো চলছে। গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৬ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর ও প্রেস টিভি
Leave a Reply