গাজা উপত্যকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন একটি ‘রোডম্যাপ’-এর প্রস্তাব করেছে ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষ্ময়কর প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এখনই ‘এই যুদ্ধ বন্ধ করার সময়।’ হামাসও প্রস্তাবটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে।
আট মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য এটিকে বড় ধরনের সমাধান হিসেবে উল্লেখ করে বাইডেন বলেছেন, এতে প্রথমে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি দিয়ে শুরুর কথা বলা হয়েছে। তাছঅড়া গাজার জনবহুল সকল এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, ‘এটা হলো এই যুদ্ধ বন্ধ করার সময়, শুরু করার সময়। আমরা শান্তির এই সুযোগ হাতছাড়া করতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘ইসরাইল ব্যাপকভিত্তিক নতুন প্রস্তাব দিয়েছৈ। টেকসই যুদ্ধবিরতি এবং সকল পণবন্দীর মুক্তির রোডম্যাপ এটি।’
বাইডেন বলেন, হামাসের আর ইসরাইলের ভেতরে বড় ধরনের আরেকটি হামলা চালানোর মতো শক্তি নেই।
তিনি বলেন, ইসরাইল তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, হামাস বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চায়। তারা সত্যিই তা চায় কিনা এই চুক্তি তা প্রমাণের একটি সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি জানান, যুদ্ধবিরতি হলে সাহায্য নিরাপদে যেতে পারবে এবং যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছাতে পারবে।
বাইডেন বলেন, ইসরাইলি প্রস্তাবের প্রথম পর্যাযে সবকিছু দেয়া আছে। হামাস রাজি থাকলে তা এখনই শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায় শুরু হওয়ার পর হামাস ও ইসরাইল দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এতে বৈরিতা অবসানের স্থায়ী ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, আলোচকদের যদি ছয় সপ্তাহের বেশি সময় লাগে, তবে আলোচনা চলা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার দ্বিতীয় ধাপের সমঝোতায় পৌঁছার আগে পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত রাখতে কাজ করবে।
বাইডেন বলেন, আমি জানি, ইসরাইলে অনেকে আছেন, যারা এই পরিকল্পনায় সম্মত নন এবং তারা যুদ্ধ অনির্দিষ্টকালের জন্য অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাবেন। তাদের অনেকে সরকারি জোটেও আছেন। তারা পরিষ্কারভাবে বলবেন যে তারা গাজা দখল করতে চান। তারা বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে চান, তাদের কাছে পণবন্দী মুক্তি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয় নয়। আমি ইসরাইল সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, যত চাপই আসুক না কেন, এই চুক্তির পেছনে দাঁড়াতে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য
Leave a Reply