আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিনিয়র স্টাফের ওপর নজরদারি, হ্যাক, চাপ সৃষ্টি, নিন্দা করতে এবং হুমকি দিতে ইসরাইল তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিয়োগ করেছিল। ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর গার্ডিয়ান মঙ্গলবার সকালে আরো একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে দাবি করা হয় যে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদের প্রধান ইয়োশি কোহেন যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আইসিসি প্রসিকিউটরকে ‘হুমকি’ দিয়েছিলেন।
ইসরাইলভিত্তিক ম্যাগাজিন +৯৭২ এবং লোকাল কলের সহযোগিতায় গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আদালতের তদন্তকে লক্ষ্যচ্যুত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) সিনিয়র স্টাফের ওপর নজরদারি, হ্যাক, চাপ সৃষ্টি, নিন্দা করতে এবং হুমকি দিতে ইসরাইল তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নিয়োগ করেছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি গোয়েন্দারা আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এবং তার পূর্বসূরী ফাতো বেনসুদার ফোন কল, মেসেজ, ইমেইল, নথিপত্রগুলোতে আঁড়ি পেতেছিল। আইসিসির পরিকল্পনা সম্পর্কে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যাতে আগেই তথ্য পেয়ে যেতে পারেন, সেজন্য এই গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছিল।
গার্ডিয়ানে জোর দিয়ে বলা হয়, করিম খান এবং আরেক পক্ষের মধ্যকার একটি যোগাযোগ ইসরাইলিরা আগেই হাতিয়ে নেয়। ওই যোগাযোগে দেখা যায়, করিম খান যখন নেতানিয়াহুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে চাচ্ছিলেন, তখন ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপের মুখে’ পড়েছিলেন।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নেতানিয়াহু আইসিসির বিরুদ্ধে চলমান গোয়েন্দা কার্যক্রমের ব্যাপারে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, শিনবেইত, সামরিক গোয়েন্দা শাখা, সাইবার গোয়েন্দা শাখা ইউনিট ৮২০০ও মোতায়েন করেছিলেন আইসিসির বিরুদ্ধে।
গার্ডিয়ান এ ব্যাপারে আইসিসির মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করে। তিনি দাবি করেন যে তাদের আদালতের প্রতি বৈরী দেশের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে তারা অবগত রয়েছেন।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply