জাতিসঙ্ঘের সংস্থাগুলো সুদানে দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছে, মানবাধিকার হাইকমিশনারের দফতর বলেছে যে- জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক এই সপ্তাহে সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলদের সাথে সংঘাত কমানোর চেষ্টা করার জন্য পৃথকভাবে ফোনে কথা বলেছেন।
হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, হাইকমিশনার উভয় কমান্ডারকে সতর্ক করে দেন যে- এল-ফাশারে যুদ্ধ, যেখানে ১৮ লাখেরও বেশি বাসিন্দা এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ রয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের আসন্ন ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখানে বেসামরিক লোকজনের মধ্যে বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতির সাথে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষকে আরও গভীর করবে।
পশ্চিম দারফুরে সুদানী সশস্ত্র বাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশারের নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াইয়ের পর থেকে, গত সপ্তাহে বিপর্যয় নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, জাতিসঙ্ঘ বলছে অন্তত ৫৮ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ২১৩ জন আহত হয়েছে।
শামদাসানি মঙ্গলবার সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট-জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর সাথে পৃথক টেলিফোন কথোপকথনের সময় বলেছেন, জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য উভয় জেনারেলের কাছে আবেদন করেছেন।
তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক, যিনি আগস্ট থেকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী নেতার সাথে কথোপকথনের চেষ্টা করছেন, সুদানের পরিস্থিতি নিয়ে তার ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ‘শত্রুতা বন্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্ট দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছেন।
শামদাসানি বলেন, হাইকমিশনার মানুষের পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার অ্যাক্সেস নিশ্চিত করতে, মানবিক সহায়তাকে বাধা না দিতে, এবং তাদের সৈন্য এবং তাদের সহযোগী বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং মানবাধিকার আইনকে পুরোপুরি সম্মান করে তা নিশ্চিত করতে তাদের শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, জেনারেলরা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান করার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন এবং এসএএফ কমান্ডার বুরহান ইঙ্গিত দিয়েছেন যে- তিনি জাতিসঙ্ঘের আরো মানবাধিকার কর্মীদের জন্য ভিসা সহজতর করবেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply