যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলার অংশ হিসেবে ইরান এই ব্যবস্থা নিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংসদে পাস হওয়া দু’টি আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই দু’টি আইনের একটি হচ্ছে পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই শীর্ষক আইন। আর অন্যটি হচ্ছে শান্তি ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিদ্বেষমূলক তৎপরতা রুখে দেওয়ার আইন।
ইরানের সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার আওতাভূক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ থাকলে সেগুলোরও বিচার করা হবে।
নিষেধাজ্ঞায় আওতায় আসা ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলোরতালিকা
১- সাইপ্রাসে ব্রিটেনের আক্রোতিরি বিমান ঘাঁটি।
২- লোহিত সাগরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ডায়মন্ড রণতরী।
৩- ব্রিটিশ এলবিট সিস্টেম কোম্পানি।
৪- ম্যাগিট পার্কার ব্রিটিশ কোম্পানি।
৫- ব্রিটিশ রাফায়েল কোম্পানি।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্রিটিশ ব্যক্তিদের তালিকা:
১- গ্র্যান্ট শ্যাপস, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
২- জেমস হ্যাকেনহল, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের অধিনায়ক।
৩- শ্যারন নেসমিথ, ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ।
৪-পল রেমন্ড গ্রিফিথস, ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সহকারী চিফ অফ স্টাফ।
৫- অ্যাড্রিয়ান বার্ড, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক।
৬- রিচার্ড ক্যাম্প, লোহিত সাগরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর রণতরী রিচমন্ডের কমান্ডার।
৭- সাইমন ক্ল্যাক, সাইপ্রাসে ব্রিটিশ অ্যাক্রোতিরি বিমান ঘাঁটির কমান্ডার।
৮- পিটার ইভান্স, লোহিত সাগরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ডায়মন্ড রণতরীর কমান্ডার।
Leave a Reply