সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য সাক্ষীদের সমালোচনা করার ব্যাপারে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এই জরিমানা করা হয়।
নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জুয়ান মারচান দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্টের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্পের দাবি ছিল, বিচার চলাকালীন সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ দুজন সাক্ষীকে আক্রমণের কারণ হলো, তিনি কেবল তার বিরুদ্ধে আনীত রাজনৈতিক আক্রমণের জবাব দিয়েছেন। সাক্ষী দুজন হলেন মাইকেল কোহেন, ট্রাম্পের এক সময়কার আইনজীবী এবং পর্ণ চলচ্চিত্র তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ-এ সমর্থকদের মন্তব্যের রিপোস্ট গ্যাগ অর্ডারের লঙ্ঘন নয় বলে ট্রাম্পের দাবিকে ‘পাল্টা-জ্ঞাত এবং অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্চান।
অবমাননার দায়ের পাশাপাশি মারচান ট্রাম্পকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ থেকে আপত্তিকর পোস্টগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এই আদেশে ট্রাম্পকে বিচার কার্যক্রমের সাক্ষী, জুরি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে মারচানের বা মামলাটির প্রসিকিউটর অ্যালভিন ব্র্যাগের সমালোচনা করতে না করা হয়নি। ট্রাম্প বরাবরই এই দুজনকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন।
ট্রাম্প বিচারের বিরতির সময় এবং রাজনৈতিক সমাবেশে বারবার অভিযোগ করেছেন যে, গ্যাগ অর্ডারটি তার বাক স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প ২০২৪ সালের সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং তিনি খুব সম্ভবত ২০২০ সালে যার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোমুখি হবেন।
ট্রাম্পই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
তার বিরুদ্ধে এক দশক আগে তার সাথে এক রাত কাটানোর দাবি সম্পর্কে ভোটাররা যাতে না জানতে পারে, সেজন্য ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পদে সফল দৌড়ের ঠিক আগে ড্যানিয়েলসকে ১৩ হাজার ডলার প্রদানের বিষয়টি গোপন করে ব্যবসায়িক রেকর্ড জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্প এই সম্পর্ক এবং নিউ ইয়র্কের মামলায় ৩৪টি অভিযোগের সবকটিই অস্বীকার করেছেন।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply