চলতি বছরেই ১৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ‘পরবর্তী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে জাতীয় দিবস হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।’
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজাকারদের তালিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘গতকালও এ বিষয়ে মিটিং হয়েছে। আশা করছি, ২৬ মার্চের আগে তা সম্পন্ন হবে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।’
যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা তৈরির ব্যাপারে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের একটা সংখ্যা আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে বিচারও করা হচ্ছে। তবে যারা রাজাকার ও আলবদর ছিল তাদের সংখ্যা অনেক। তাদের সবার বিচার করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এসব যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রণয়নে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তালিকা তৈরির কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।’
একই সময়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ অন্যান্যরা।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও পেশাজীবী নেতারা শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভোর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বদ্ধভূমিতে। এরপর ৮টা থেকে ভিড় বাড়তে থাকে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে।
Leave a Reply