তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, তিনি অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে নাইজারে যেকোনো ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধী। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, এ ধরনের হস্তক্ষেপ ওই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।
হাঙ্গেরি সফরকালে রোববার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এরদোগান বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক জোট ইসিওডব্লিউএএস যে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বিবেচনা করছে তা ‘যথাযথ’ হবে না।
এরদোগান বলেন, ‘মালি ও বুরকিনা ফাসো এ ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে যে এর অর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের অর্থ হবে আফ্রিকার অনেক দেশে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়া।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব সাংবিধানিক ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রশাসনের প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করেন।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্টের রক্ষী বাহিনী প্রেসিডেন্ট বাজুমকে আটক করে। পরে তারা সরকার উৎখাতের ঘোষণা দেয়।
নাইজারের প্রেসিডেন্ট রক্ষী বাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদুররহমান নিজেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ঘোষণা করেন।
এরপর থেকেই পশ্চিম আফ্রিকান জোটটি সাবেক প্রেসিডেন্টের সমর্থনে সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বলতে থাকে।
জোটের কমিশনার আবদেল-ফাতাউ বলেন, জোটের ১৫টি দেশের মধ্যে ১১টিই হস্তক্ষেপের জন্য সৈন্য দিতে প্রস্তুত।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা করেছে। আবার রাশিয়া অভ্যুত্থানের প্রতি সমর্ধন দিয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর
Leave a Reply