ফিলিপাইনের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া এই সপ্তাহে পশ্চিম ফিলিপাইনের কাছে, দক্ষিণ চীন সাগরে একটি যৌথ নৌ মহড়ার পরিকল্পনা করছে। বিতর্কিত জলসীমায় চীনা আগ্রাসনের সাম্প্রতিক ঘটনার পর, এই অঞ্চলে আইনের শাসনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
গত ৫ আগস্ট চীনের উপকূল রক্ষীদের জাহাজ থেকে বিতর্কিত সমুদ্রসীমায় ফিলিপাইনের জাহাজ লক্ষ্য করে জলকামান ব্যবহার করা হয়। এখানে চলমান বিবাদ, দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত সৃষ্টির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। আর এটা, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্বের সম্মুখ রেখায় পরিণত হয়েছে।
এই মহড়ায় তিনটি বিমান ও হেলিকপ্টারবাহী রণতরী একত্রে সাগর-যাত্রা করবে, শক্তি প্রদর্শন করবে এবং যৌথ অনুশীলনে অংশ নেবে। ফিলিপাইনের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, মহড়ার পর জাহাজগুলোর কমান্ডাররা ম্যানিলায় তাদের ফিলিপিনো সমকক্ষদের সাথে বৈঠক করবেন। পরিকল্পিত মহড়ার বিষয়ে বিশদ আলোচনার অনুমতি না থাকায়, তারা কেউই তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএস আমেরিকা নামে একটি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে; অন্যদিকে জাপান তার বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার জেএস ইজুমো-কে প্রেরণ করবে। আর, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান নেভি তাদের এইচএমএএস ক্যানবেরাকে পাঠাবে মহড়ায় অংশ নিতে। এটিও একটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ।
দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন বলেন, কয়েক মাস আগেই এই যৌথ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সামরিক সরঞ্জাম ও উপকরণের সীমাবদ্ধতার কারণে ফিলিপাইন এই সপ্তাহের এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে না। তবে, ভবিষ্যতে এমন মহড়ায় যুক্ত হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply