ফুটবল ইতিহাসে আরো একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ দেখলেন ভক্তরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতা, এরপর টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি শটে ৪-৪, পরবর্তী চার শটে ৪-৪ এবং সর্বশেষ একটি করে নেয়া শ্যুট আউটে ১-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়েছে মেসির মায়ামি।
রোববার (২০ আগস্ট) সকাল ৭টায় লিগস কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইন্টার মায়ামি ও নাশভিল। যেখানে মায়ামি গোলরক্ষক কালেন্ডারের বীরত্বে ন্যাশভিলেকে ১১-১০ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে মায়ামি।
ন্যাশভিলের ঘরের মাঠ জিওডিস পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ইতিহাস গড়তে নেমেছিল মায়ামি। জয় পেলে ইতিহাস হতো স্বাগতিক ন্যাশভিলেরও। ম্যাচের শুরুতে মায়ামিকে কিছুটা চাপে রাখে ন্যাশভিল। চতুর্থ মিনিটে মেসির সুবাদে প্রথম আক্রমণ করার সুযোগ পায় মায়ামি। যদিও মেসির বাড়ানো বল থেকে জর্দি আলবা গোল অভিমুখে শট নিতে পারেননি।
বারবার আক্রমণে যাওয়া মায়ামির গোলের জন্য খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে যান মেসি। ডি-বক্সের বাইর থেকে গোলপোস্টের বাঁ দিক দিয়ে মেসির জোরালো শটে গা ভাসিয়েও সেভ করতে পারেননি পানিকো।
আর্জেন্টাইন তারকার নৈপুণ্যে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। এটি লিগস কাপের মেসির দশম গোল। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে না পারায় ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় মায়ামি।
বিরতি থেকে ফিরে ছন্দ খুঁজে পায় স্বাগতিক ন্যাশভিলে। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে কর্ণার থেকে ফাফার গোলে সমতায় ফেরে ন্যাশভিলে। এরপর ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মেসি। এরপর ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের দেখা পেতেই যাচ্ছিল ন্যাশভিলে। তবে মায়ামি গোলরক্ষক কালেন্ডারের দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় রক্ষা পায় মায়ামি।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ মায়ামি ফরোয়ার্ড ক্যাম্পানা। অবশেষে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। আর সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেলেন মেসি।
Leave a Reply