গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি হতে পুর্ব মৌচাক ময়দার ঢালু পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এটুকু রাস্তা সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় লক্ষাধিক মানুষ ও শিল্প কারখানার কর্মী, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মৌচাক ইউনিয়ন মৌচাক বাজার হইতে ময়দার ঢাল পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে শিল্প কারখানা শ্রমিকরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি কষ্টে। মৌচাক হতে ময়দার ঢাল পর্যন্ত মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত এবং পূর্বের রাস্তার কিছু অংশের ইটের সলিং এবং বাকি অংশের পিচ ঢালাই উঠে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই গর্তে পানি জমা হয়ে গর্তগুলো আরো বড় আকার ধারন করছে। খানাখন্দের উপর দিয়ে মিলকারখানার কাভার্ডভ্যানসহ শত শত যানবাহন চলাচলের করছে। ফলে বর্তমানে রাস্তাটি একবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রীবাহী অটোরিক্সা উল্টে গিয়ে অনেকের জানমালেরও ক্ষতি হচ্ছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পথচলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্য যানবাহন চলাচল প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় ইজিবাইক চালক মকবুল হোসেন জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুবই নাজুক। এমন দুরবস্থাপূর্ণ রাস্তার কারণে এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাতে স্থানীয়দের চলাচলে বেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভ্যানচালক রফিকুল জানান, এ রাস্তাটি দেখার যেন কেই নেই। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। রাতের বেলা অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে এলাকার লোকজন দুর্ঘটনার কবলে পরে। আমি গরিব মানুষ অটোচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্ত রাস্তার যে অবস্থা পায়ে হেটে চলাই কষ্ট তার উপর আবার ভ্যানে কিভাবে মানুষ নিয়ে চলাচল করবো।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সবুজ জানান, ‘রাস্তার এমন পরিস্থিতিতে তাদের ব্যবসায় বেশ ক্ষতি হচ্ছে।’
এদিকে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। কারণ তাদের দীর্ঘ ভাঙা পথ পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যার কারণে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সময় মতো শিক্ষার্থীরা যেতে পারে না।
ওই রাস্তায় চালাচলকারী শিক্ষার্থী জোসনা, আক্তার, মনি, রেদওয়ান জানান, রাস্তাটির বেশির ভাগ স্থানই ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। যার কারণে ময়দার ঢাল হইতে মৌচাক রাস্তা দিয়ে যেতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়।
এলাকাবাসীসহ রাস্তায় চলাচলরত লোকজনের দাবি রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করা হোক।
Leave a Reply