1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

সরকারের আশ্বাসে বিশ্বাস নেই বিএনপির

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ মে, ২০২৩

-নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই
-মার্কিন ভিসানীতির পর্যালোচনা নীতি-নির্ধারকদের

দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য’ হবে, সরকারের তরফ থেকে এমন আশ্বাসে কোনো বিশ্বাস নেই বিএনপির। দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতেই অনড় রয়েছে। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠও ছাড়বে না দলটি। গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও ব্যক্তি মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে, এমন ‘কঠোর’ ঘোষণার পরও দলটির অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, মার্কিন ভিসা নীতি সরকারের ওপর একটি বড় ধরনের চাপ। এখন সরকারকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করতে হবে।

মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পরদিন গত বৃহস্পতিবার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে বিএনপি। প্রথম যৌথ বৈঠকটি হয় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বাসায়, যেখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারাও ছিলেন। জানা গেছে, ওই বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আবার ব্যক্ত করেন পিটার হাস। নতুন ভিসানীতি তারই অংশ (পার্ট) বলে তিনি তিন পক্ষকে জানান। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা কিংবা ডায়ালগের মাধ্যমে সব সঙ্কট কেটে যাবে বলে বৈঠকে পিটার হাস আশা প্রকাশ করেন।
ভিসানীতি ঘোষণার পরপরই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসায় দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের নেতাদের এক টেবিলে বসার ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচন সামনে রেখে সঙ্কট সমাধানে বিভিন্ন মহল থেকে সংলাপের কথা বলা হলেও এ ঘটনার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে এক টেবিলে বসেননি। তাই এ ঘটনা আগামী নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের একটি অর্থবহ ইঙ্গিত বলেও মনে করছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।

পিটার হাসের সাথে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পর ওই দিন বিকেলে দীর্ঘ বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। জানা গেছে, বৈঠকে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে নেতারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই প্রতিধ্বনি।
ভিসানীতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরকারি জনবল, সাবেক ও বর্তমান সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আওতাভুক্ত করার বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে। দলটি মনে করে, বিগত কয়েকটি বিতর্কিত নির্বাচনে এদের কোনো না কোনো অংশের ভূমিকা ছিল।

মার্কিন এ পদক্ষেপকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর একটি বড় চাপ হিসেবেও দেখছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। তারা মনে করছেন দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে আগামীতে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগে থেকেই সরকারের ওপর বিদেশী চাপ অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন নতুন এই ভিসানীতির পর সেই চাপ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে সরকার এখন সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কিংবা সুষ্ঠু নির্বাচন কিভাবে হবে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে বাধ্য হবে।

বিএনপি সরকারের তরফ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না। নেতারা বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সংলাপে অংশ নিয়েছিলেন। ওই সংলাপে প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও ভোট তারা করেছে আগের রাতেই। বিএনপির কোনো প্রার্থীকে তারা মাঠে দাঁড়াতে দেয়নি। শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। এখন আগামী নির্বাচন সামনে রেখে তারা যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটি ফের ক্ষমতায় যাওয়ারই একটি নীলনকশা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খমরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, আগামী নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশে যদি বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন করে গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হয় এবং নির্বাচনের আগে লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড যদি নিশ্চিত করতে হয়, তা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া অপরিহার্য; অন্যথায় সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

জানা গেছে, দলটি চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে। যেটি আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গিয়ে চূড়ান্ত রূপ নিতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com